রজনীকান্ত সেন
ইচ্ছামতী
যখন যেমন মনে করিতাই হতে পাই যদিআমি তবে একখানি হইইচ্ছামতী নদী।রৈবে আমার দখিন ধারেসূর্য ওঠার পার,বাঁয়ের ধারে সন্ধ্যেবেলায়নামবে অন্ধকার।আমি কইব
সামান্য ক্ষতি
বহে মাঘমাসে শীতের বাতাস,স্বচ্ছসলিলা বরুণা।পুরী হতে দূরে গ্রামে নির্জনেশিলাময় ঘাট চম্পকবনে,স্নানে চলেছেন শতসখীসনেকাশীর মহিষী করুণা। সে পথ সে ঘাট আজি
পরিচয়
একদিন তরীখানা থেমেছিল এই ঘাটে লেগে,বসন্তের নূতন হাওয়ার বেগে।তোমরা শুধায়েছিলে মোরে ডাকিপরিচয় কোনো আছে নাকি,যাবে কোন্খানে।আমি শুধু বলেছি, কে জানে।নদীতে
মুক্তি
ডাক্তারে যা বলে বলুক নাকো,রাখো রাখো খুলে রাখো,শিয়রের ওই জানলা দুটো,–গায়ে লাগুক হাওয়া।ওষুধ? আমার ফুরিয়ে গেছে ওষুধ খাওয়া।তিতো কড়া কত
দেওয়া-নেওয়া
বাদল দিনের প্রথম কদমফুলআমায় করেছ দান,আমি তো দিয়েছি ভরা শ্রাবণেরমেঘমল্লার গান।সজল ছায়ার অন্ধকারেঢাকিয়া তারেএনেছি সুরের শ্যামল খেতেরপ্রথম সোনার ধান।আজ এনে
আকাশ-প্রদীপ
গোধূলিতে নামল আঁধার,ফুরিয়ে গেল বেলা,ঘরের মাঝে সাঙ্গ হোলোচেনা মুখের মেলা।দূরে তাকায় লক্ষ্যহারানয়ন ছলোছলো,এবার তবে ঘরের প্রদীপবাইরে নিয়ে চলো।মিলনরাতে সাক্ষী ছিল