সুকুমার রায়
অন্ধকার
গভীর অন্ধকারের ঘুম থেকে নদীর চ্ছল চ্ছল শব্দেজেগে উঠলাম আবার ;তাকিয়ে দেখলাম পান্ডুর চাঁদ বৈতরণীর থেকে তার অর্ধেক ছায়াগুটিয়ে নিয়েছে
তোমরা যেখানে সাধ চলে যাও
তোমরা যেখানে সাধ চ’লে যাও — আমি এই বাংলার পারের’য়ে যাব; দেখিব কাঁঠালপাতা ঝরিতেছে ভোরের বাতাসে;দেখিব খয়েরি ডানা শালিখের সন্ধ্যায়
দুজন
‘আমাকে খোঁজো না তুমি বহুদিন – কতদিন আমিও তোমাকেখুঁজি নাকো; – এক নক্ষত্রের নিচে তবু – একই আলো পুথিবীর পারেআমরা
নগ্ন নির্জন হাত
আবার আকাশের অন্ধকার ঘন হয়ে উঠেছে :আলোর রহস্যময়ী সহোদরার মতো এই অন্ধকার।যে আমাকে চিরদিন ভালোবেসেছেঅথচ যার মুখ আমি কোনদিন দেখিনি,সেই
শঙ্খমালা
কান্তারের পথ ছেড়ে সন্ধ্যার আঁধারেসে কে এক নারী এসে ডাকিল আমারে,বলিল , তোমারে চাই :বেতের ফলের মতো নীলাভ ব্যথিত তোমার
হাওয়ার রাত
গভীর হাওয়ার রাত ছিল কাল— অসংখ্য নক্ষত্রের রাত;সারা-রাত বিস্তীর্ণ হাওয়া আমার মশারিতে খেলেছে;মশারিটা ফুলে উঠেছে কখনও মৌসুমী সমুদ্রের পেটের মতো,কখনও