সুকুমার রায়
মাধবীর জন্যে
আয়নার পাশে একটু অন্ধকার ছায়া এঁকে দাও।ব্যথিত দৃশ্যের পট জুড়ে থাক চিত্রিক আঁধার।দেয়ালের ছবিটাকে একটু সরাতে হবে ভাই।ওটা নয়, এই
যে টেলিফোন আসার কথা
যে টেলিফোন আসার কথা সে টেলিফোন আসেনি।প্রতীক্ষাতে প্রতীক্ষাতেসূর্য ডোবে রক্তপাতেসব নিভিয়ে একলা আকাশ নিজের শূন্য বিছানাতে।একান্তে যার হাসির কথা হাসেনি।যে
স্মৃতি বড় উচ্ছৃঙ্খল
পুরনো পকেট থেকে উঠে এলকবেকার শুকনো গোলাপ ।কবেকার ? কার দেওয়া ? কোনমাসে ? বসন্তে না শীতে ?গোলাপের মৃতদেহে তারপাঠযোগ্য
কোনো কোনো যুবক যুবতী
একালের কোনো কোনো যুবক বা যুবতীর মুখেসেকালের মোমমাখা ঝাড়লন্ঠন স্তম্ভ ও গম্বুজ দেখা যায়।দেখে হিংসা জাগে। মানুষ এখন যেন কোনো
কখন আসছ তুমি
সকল দুয়ার খোলা আছেনিমন্ত্রণ-লিপি গাছে গাছেগাঢ় চুম্বনের মত আকাশ নদীর খুব কাছেরোদে ঝলোমলো।কখন আসছ তুমি বলো?বেলা যায়, দেরী হয়ে যায়বাসি
আরশিতে সর্বদা এক উজ্জল রমনী
আরশিতে সর্বদা এক উজ্জল রমণী বসে থাকে।তার কোনো পরিচয়, পাসপোর্ট, বাড়ির ঠিকানামানুষ পায়নি হাত পেতে। অনুসন্ধানের লোভে মুলত সর্বতোভাবে তাকে