সুকুমার রায়
জন্মকথা
খোকা মাকে শুধায় ডেকে–“এলেম আমি কোথা থেকে,কোন্খানে তুই কুড়িয়ে পেলি আমারে।’মা শুনে কয় হেসে কেঁদেখোকারে তার বুক বেঁধে–“ইচ্ছা হয়ে ছিলি
পূজার সাজ
আশ্বিনের মাঝামাঝি উঠিল বাজনা বাজিপূজার সময় এল কাছে।মধু বিধু দুই ভাই ছুটাছুটি করে তাইআনন্দে দু-হাত তুলি নাচে।পিতা বসি ছিল দ্বারে
দুই আমি
বৃষ্টি কোথায় নুকিয়ে বেড়ায়উড়ো মেঘের দল হয়ে,যেই দেখা দেয় আর-এক ধারায়শ্রাবণ-ধারার জল হয়ে।আমি ভাবি চুপটি করেমোর দশা হয় ঐ যদি!কেই
খেলা-ভোলা
তুই কি ভাবিস, দিনরাত্তির খেলতে আমার মন?কক্ষনো তা সত্যি না, মা, আমার কথা শোন্।সেদিন ভোরে দেখি উঠে বৃষ্টিবাদল গেছে ছুটে,রোদ
দুয়োরানী
ইচ্ছে করে মা, যদি তুইহতিস দুয়োরানী!ছেড়ে দিতে এমনি কি ভয়তোমার এ ঘরখানি।ঐখানে ঐ পুকুরপারেজিয়ল গাছের বেড়ার ধারেও যেন ঘোর বনের
পুতুল ভাঙা
সাত-আটটে সাতাশ’, আমি বলেছিলাম বলেগুরুমশায় আমার ‘পরে উঠল রাগে জ্বলে।মা গো, তুমি পাঁচ পয়সায় এবার রথের দিনেসেই যে রঙিন পুতুলখানি