সুকুমার রায়
মানুষের মানচিত্র ৪
ভাসান যে দিতে চাও, কোন দেশে যাবা? যাবা সে কোন বন্দরে আমারে একলা থুয়ে? এই ঘর, যৈবনের কে দেবে পাহারা?এমন
মানুষের মানচিত্র ১
আহারে বৃষ্টির রা, সোহাগি লো, আমি থাকি দূর পরবাসে।কান্দে না তোমার বুকে একঝাঁক বুনোপাখি অবুঝ কৈতর?কেমনে ফুরায় নিশি? বলো সই,
মনে পড়ে সুদূরের মাস্তুল
পেছনে তাকালে কেন মূক হয়ে আসে ভাষা !মনে পড়ে সেই সব দুপুরের জলাভূমি,সেই সব বেতফল, বকুল কুড়ানো ভোর,আহা সেই রাঙাদির
দূরে আছো দূরে
তোমাকে পারিনি ছুঁতে, তোমার তোমাকে-উষ্ণ দেহ ছেনে ছেনে কুড়িয়েছি সুখ,পরস্পর খুড়ে খুড়ে নিভৃতি খুঁজেছি।তোমার তোমাকে আমি ছুঁতে পারি নাই। যেভাবে
কথা ছিলো সুবিনয়
কথা ছিলো রক্ত-প্লাবনের পর মুক্ত হবে শস্যক্ষেত,রাখালেরা পুনর্বার বাশিঁতে আঙুল রেখেরাখালিয়া বাজাবে বিশদ।কথা ছিলো বৃক্ষের সমাজে কেউ কাঠের বিপনি খুলে
এক গ্লাস অন্ধকার হাতে
এক গ্লাস অন্ধকার হাতে নিয়ে বসে আছি।শুন্যতার দিকে চোখ, শুন্যতা চোখের ভেতরও–এক গ্লাস অন্ধকার হাতে নিয়ে বসে আছি।বিলুপ্ত বনস্পতির ছায়া,