সমবেত কবিতা
প্রিয়তমাসু
সীমান্তে আজ আমি প্রহরী।অনেক রক্তাক্ত পথ অতিক্রম ক’রেআজ এখানে এসে থমকে দাড়িয়েছি-স্বদেশের সীমানায়।দূসর তিউনিসিয়া থেকে স্নিগ্ধ ইতালী,স্নিগ্ধ ইতালী থেকে ছুটে
মিছিল
যে যাবে না সে থাকুক, চলো, আমরা এগিয়ে যাই।যে-সত্য জেনেছি পুড়ে, রক্ত দিয়ে যে-মন্ত্র শিখেছি,আজ সেই মন্ত্রের সপক্ষে নেবো দীপ্র
ফাঁসির মঞ্চ থেকে
ফাঁসির মঞ্চ থেকে আমাদের যাত্রার শুরু।এক একটি জন্মের সমান মেধাবী মৃত্যুএক একটি প্রতিজ্ঞা-পুষ্ট মৃত্যুর সোপানদুর্যোগ-অন্ধকারে তুলে রাখে সূর্যময় হাত—তুমুল তিমিরে
ইশতেহার
পৃথিবীতে মানুষ তখনও ব্যক্তিস্বার্থে ভাগ হয়ে যায়নি ।ভুমির কোনো মালিকানা হয়নি তখনো ।তখনো মানুষ শুধু পৃথিবীর সন্তান । অরন্য আর
মাংশভুক পাখি
ফুলের পোশাকে ঢাকা শরীর, দারুন মাংশভুক পাখি,ওই শকুন, ওই হিংস্র গোপন নোখ জু্ড়ে থাকা শত্রু-স্বভাব,আমাদের দিন থেকে খেয়ে যাবে প্রিয়তম
আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে
আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে–মোর মুখ হাসে মোর চোখ হাসে মোর টগবগিয়ে খুন হাসেআজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে। আজকে আমার রুদ্ধ প্রাণের পল্বলে
কাস্তে
বেয়নেট হোক যত ধারালো—কাস্তেটা ধার দিয়ো, বন্ধু!শেল আর বম হোক ভারালোকাস্তেটা শান দিয়ো, বন্ধু।নতুন চাঁদের বাঁকা ফালিটিতুমি বুঝি খুব ভালোবাসতে
নুন
আমরা তো অল্পে খুশি,কী হবে দুঃখ করে?আমাদের দিন চলে যায়সাধারণ ভাতকাপড়ে। চলে যায় দিন আমাদেরঅসুখে ধারদেনাতেরাত্তিরে দুভায়ে মিলেটান দিই গঞ্জিকাতে।
আমরা সময়ের সন্তান
আমরা এসেছি।আমরা এসেছি ।আমরা এসেছি ॥আমরা সময়ের সন্তানআমরা এসেছি।আমরা তামাটে জাতিআমরা এসেছি।আমরা তিতুমীরের বাঁশের কেল্লা,প্রীতিলতার চট্টলা।আমরা এসেছি।আমরা বায়ান্নের অগ্নি পুরুষবাংলা
আর নয় আপসের ডাক
আগুন, বিদ্রোহ করি, সুতীক্ষ্ণ হাতিয়ারে শত্রুকে ছাটাই,মরচে-পড়া খোস্তা আর কোদাল কান্তে দুর্গমে শানাইআসুন, জনতা আজ বাঁধভাঙ্গা রক্তের তুলছে জোয়ার,ক্রমশ সামনে
আমরা যাবো না
এখনও দুধের দাঁত পড়েনি , এরই মধ্যেআইয়ুব খানের দাঁত দেখাচ্ছ ?ভাবছো এতেই চলে যাব ?না , চলে যাবার জন্য আমরা
মেষতন্ত্র
মেষরে মেষ তুই আছিস বেশ,মনে চিন্তার নেইকো লেশ। ডানে বললে ঘুরিস ডানে,বামে বললে বামে।হাবে ভাবে পৌঁছে যাবিসোজা মোক্ষধামে।চরায় টিমে তালের