পোশাকেও ঢেকে থাকে রাত্রীর নিবিড় কালো ঢেউ,
তারই মধ্যে ভেসে থাকে অনুজ্জ্বল নক্ষত্রের তিল।
অতখানি দূর থেকে গেঁথে যায় চোখের মণিতে।
সেইখান থেকে বিচ্ছুরিত আলোর প্রভায়
নিবিড় গল্পের ছলে এঁকে দিলে তুমি সীমারেখা।
সহজ জ্যামিতিটুকু সকলেই জানে-
একটি সরলরেখা অন্তহীন কাল ধরে হেঁটে যেতে পারে।
মানুষ সরল নয়, সরলরেখার মতো নয়,
যেতে যেতে মানুষেরা বাঁকিয়েও যায়।
তার ভালোলাগাটুকু নদীর মতন বেঁকে
ভালোবাসা হয়ে যেতে পারে,
আর্দ্রতায় স্নিগ্ধতায় প্রেমে অদেখা ভুবনটাকে
মহিমায় করে দিতে পারে অনন্য সৃজন।
সেই রাতে সীমারেখা আঁকা হলো বটে,
সীমাবদ্ধ গণ্ডি তো হলো না!
তা হলে বিমুগ্ধ কোনো গ্রহের মতন
কক্ষপথ বুঝে নেওয়া যেত।
সমাজদর্শন বলে যুদ্ধ আর প্রেমে
তেমন পার্থক্য নেই কোনো।
ও দুটোরই প্রবণতা হলো-
সীমা অতিক্রম করে যাওয়া।
সেই সূত্রে প্রশ্ন উঠতে পারে-
ক্ষতচিহ্নে উপনীত হতে
কতটা আলোকবর্ষ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকে!