সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

যদি নির্বাসন দাও

যদি নির্বাসন দাও, আমি ওষ্ঠে অঙ্গুরী ছোঁয়াবোআমি বিষপান করে মরে যাবো ।বিষন্ন আলোয় এই বাংলাদেশনদীর শিয়রে ঝুঁকে পড়া মেঘপ্রান্তরে দিগন্ত

বাকি অংশ »

এখনো সময় আছে

তখন তোমার বয়স আশী, দাঁড়াবে গিয়ে আয়নায়নিজেই ভীষণ চমকে যাবে, ভাববে এ কে ? সামনে এ কোন ডাইনী ?মাথা ভর্তি

বাকি অংশ »

কেউ কথা রাখেনি

কেউ কথা রাখেনি, তেত্রিশ বছর কাটলো, কেউ কথা রাখেনিছেলেবেলায় এক বোষ্টুমী তার আগমনী গান হঠাৎ থামিয়ে বলেছিলশুক্লা দ্বাদশীর দিন অন্তরাটুকু

বাকি অংশ »

বাবা 

বাবা বললেন,অন্ধকারে একটুখানি দাঁড়িয়ে থাক আমার জন্যমাটির তলার একটা সুড়ঙ্গে নেমে গেলেনখুব আস্তে আস্তেআকাশে প্রান্ত নির্ণয় ভুল করে ছুটে গেল

বাকি অংশ »

কাঁটা 

তোমার পায়ে কাঁটা ফুটেছিল।টিটলাগড়ে আলপথে।তখন সন্ধ্যা ঝুঁকে পড়েছে।তুমি উ: বলতেই আমি বললাম, দাঁড়াও, নড়ো না।তোমার পায়ে আমি হাত দেবো, এ

বাকি অংশ »

যা চেয়েছি, যা পাবো

–কী চাও আমার কাছে?–কিছু তো চাইনি। আমি!–চাওনি তা ঠিক। তবু কেনএমন ঝড়ের মতো ডাক দাও?–জানি না। ওদিকে দ্যাখোরোদ্দুরে রুপোর মতো

বাকি অংশ »

জীবন-স্মৃতি

—তোমার ছিল স্বপ্ন দেখার অসুখ, তুমিআপন মনে কথা বলতে –তোমার ছিল বিষম দুঃখ,তুমি কখনোনদীর পারে একলা যাওনি —তোমার ছিল ছুরির

বাকি অংশ »

একটি গ্রাম্য দৃশ্য

মাটির দাওয়ায় খুদে মাস্টার ক্লাস সিক্সের গুটুলিহাতে বেত নেই, তর্জনি তোলা, নাকের ডগায় চশমাখেলনা চশমা, চশমা ছাড়া কি মাস্টার সাজা

বাকি অংশ »

সেই সব স্বপ্ন

কারাগারের ভিতরে পড়েছিল জোছনাবাইরে হাওয়া, বিষম হাওয়াসেই হাওয়ায় নশ্বরতার গন্ধতবু ফাঁসির আগে দীনেশ গুপ্ত চিঠি লিখেছিল তার বৌদিকে,“আমি অমর, আমাকে

বাকি অংশ »
Scroll to Top