সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
বহুদিন পর প্রেমের কবিতা
বুকের ভিতরে যেন মুচড়ে উঠলো একুশে এপ্রিলএকুশে এপ্রিল, ওকি চুলের ভিতরে কার ক্ষীণ বজ্রমুষ্টি?বিষম লোভের মধ্যে ছুটোছুটি – দূর শহর,
যদি নির্বাসন দাও
যদি নির্বাসন দাও, আমি ওষ্ঠে অঙ্গুরী ছোঁয়াবোআমি বিষপান করে মরে যাবো ।বিষন্ন আলোয় এই বাংলাদেশনদীর শিয়রে ঝুঁকে পড়া মেঘপ্রান্তরে দিগন্ত
এখনো সময় আছে
তখন তোমার বয়স আশী, দাঁড়াবে গিয়ে আয়নায়নিজেই ভীষণ চমকে যাবে, ভাববে এ কে ? সামনে এ কোন ডাইনী ?মাথা ভর্তি
আমি কী রকম ভাবে বেঁচে আছি
আমি কী রকম ভাবে বেঁচে আছি তুই এসে দেখে যা নিখিলেশএই কী মানুষজন্ম? নাকি শেষপুরোহিত-কঙ্কালের পাশা খেলা! প্রতি সন্ধ্যেবেলাআমার বুকের
কেউ কথা রাখেনি
কেউ কথা রাখেনি, তেত্রিশ বছর কাটলো, কেউ কথা রাখেনিছেলেবেলায় এক বোষ্টুমী তার আগমনী গান হঠাৎ থামিয়ে বলেছিলশুক্লা দ্বাদশীর দিন অন্তরাটুকু
বাবা
বাবা বললেন,অন্ধকারে একটুখানি দাঁড়িয়ে থাক আমার জন্যমাটির তলার একটা সুড়ঙ্গে নেমে গেলেনখুব আস্তে আস্তেআকাশে প্রান্ত নির্ণয় ভুল করে ছুটে গেল
কাঁটা
তোমার পায়ে কাঁটা ফুটেছিল।টিটলাগড়ে আলপথে।তখন সন্ধ্যা ঝুঁকে পড়েছে।তুমি উ: বলতেই আমি বললাম, দাঁড়াও, নড়ো না।তোমার পায়ে আমি হাত দেবো, এ
যা চেয়েছি, যা পাবো
–কী চাও আমার কাছে?–কিছু তো চাইনি। আমি!–চাওনি তা ঠিক। তবু কেনএমন ঝড়ের মতো ডাক দাও?–জানি না। ওদিকে দ্যাখোরোদ্দুরে রুপোর মতো
জীবন-স্মৃতি
—তোমার ছিল স্বপ্ন দেখার অসুখ, তুমিআপন মনে কথা বলতে –তোমার ছিল বিষম দুঃখ,তুমি কখনোনদীর পারে একলা যাওনি —তোমার ছিল ছুরির
একটি গ্রাম্য দৃশ্য
মাটির দাওয়ায় খুদে মাস্টার ক্লাস সিক্সের গুটুলিহাতে বেত নেই, তর্জনি তোলা, নাকের ডগায় চশমাখেলনা চশমা, চশমা ছাড়া কি মাস্টার সাজা
সেই সব স্বপ্ন
কারাগারের ভিতরে পড়েছিল জোছনাবাইরে হাওয়া, বিষম হাওয়াসেই হাওয়ায় নশ্বরতার গন্ধতবু ফাঁসির আগে দীনেশ গুপ্ত চিঠি লিখেছিল তার বৌদিকে,“আমি অমর, আমাকে