সুবোধ সরকার
ভালো মেয়ে খারাপ মেয়ে
ঠিক কাদেরকে ভালো মেয়ে বলেআমি এখনও বুঝতে পারি না।এই বাংলায় যেসব মেয়ের দাদা লম্পটসেইসব মেয়ের সহজে বিয়ে হয় না।মা-মাসীদের মতে,
ময়ূরপঙ্খী
মেয়ে হলে কি নাম রাখতে?কি নাম, কি নাম, কি নাম রাখতাম-ময়ূরপঙ্খী। কম করে উনিশজন কবি, লেখক, অধ্যাপক বলেছেন-“বুঝলে এক ছেলে
কাল্লু
নামাজ পড়া শেষ।আকাশে আধখানা নিয়তির মতো চাঁদএকটা সাদা এম্বাসেডর এসে দাঁড়াল কাল্লুর ঝুপড়িতে‘জয় শ্রীরাম’কাল্লু বলল- ‘জয় শ্রীরাম’।ওরা তিনজন ছিল। “কাল্লু
আমি কৃষ্ণকলি মাহাতো
আমি কৃষ্ণকলি মাহাতো এম.এ, পি.এইচ.ডি.আমার গা অমাবস্যাআমার চুল মেষ পালকের ফাল্গুনআমার পিঠ সাঁওতাল পরগনাআমার দুটো থাই –একটা বাঁকুড়া, একটা পুরুলিয়া।
একুশে
ভাষা বাঁচে নুন হলুদে, ভাষা বাঁচে নদীর বাঁকেমেয়েরাই আঁচল দিয়ে ভাষাটাকে বাঁচিয়ে রাখে। মেয়েরাই মাতৃভাষা , আমরা তো ফেব্রুয়ারিমেয়েরাই শীতলপাটি,
গঙ্গাকে আমিও মা বলি
আমি সেই রুকসানা ,গঙ্গাকে আমিও মা বলি।প্ল্যাস্টিকের ব্যাগে মোড়ানো মৃতদেহ,কোন ব্যাগে আমার বাবা?সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত আমি বাবাকে খুঁজছি।ঘাট থেকে ঘাটে
ইরাবতী আসে, ইরাবতী চলে যায়
ভালবাসা যদি বিপজ্জনক হয়অঘ্রাণ হবে রাত্রে হিরণ্ময়।হরিণ যখন হেমন্ত রাত পায়মানুষের পাপ কুয়াশায় ঢেকে যায় । চাঁদের ভেতর আমি নবান্ন
বেলুড়
আমি একটা কোনায় দাঁড়িয়ে দেখছিলাম।দুটি ছেলে গেরুয়া বসন পরেমন্দিরের সিঁড়ি দিয়ে ওপরে উঠছিল।এত মন দিয়েআমি কাউকে সিঁড়ি স্নেহ করতে দেখিনিএত
রজনীগন্ধা কফিন
তোমাকে আমরা বাঁচাতে পারিনি দামিনীসারা দেশ জুড়ে আমরা কেঁদেছি, সারা দেশ জুড়ে আমরা ফুঁসেছি।ভারত রাষ্ট্র বাঁচাতে পারেনি তোমাকে।জন জোয়ারের চাপে
শাড়ি
বিয়েতে একান্নটা শাড়ি পেয়েছিল মেয়েটাঅষ্টমঙ্গলায় ফিরে এসে আরো ছটাএতো শাড়ি একসঙ্গে সে জীবনে দেখেনি। আলমারির প্রথম থাকে সে রাখলো সব
চোখের জল
মানুষের চোখ থেহে গড়িয়ে পড়া চোখের জলভালো লাগে না আমারসবচেয়ে বড় অপচয়ের নাম চোখের জলঅসহ্য, সরিয়ে নাও তোমার চোখ, আমি
ঘুষ
রবীন্দ্ররচনাবলীর নবম খন্ড দিয়ে চাপা দেওয়া সুইসাইড নোট,ছেলেকে লেখা । লিখে, হাতে ব্লেড নিয়েবাথরুমে ঢুকেছিলেন মাস্টারমশাইদুপুরবেলা কাজের লোক দরজার তলা