সৈয়দ শামসুল হক
তুমিই শুধু তুমি
তোমার দেহে লতিয়ে ওঠা ঘন সবুজ শাড়ি।কপালে ওই টকটকে লাল টিপ।আমি কি আর তোমাকে ছেড়েকোথাও যেতে পারি?তুমি আমার পতাকা, আমার
এখন মধ্যরাত
এখন মধ্যরাত।তখন দুপুরে রাজপথে ছিলো মানুষের পদপাত।মিছিলে মিছিলে টলমল ছিলো সারাদিন রাজধানী।এখন কেবল জননকূল ছল বুড়িগঙ্গার পানিশান্ত নীরব নিদ্রিত সব।ওই
কিছু শব্দ উড়ে যায়
কিছু শব্দ উড়ে যায়, কিছু শব্দ ডানা মুড়ে থাকে,তরল পারার মতো কিছু শব্দ গলে পড়ে যায়।এমন সে কোন শব্দ নক্ষত্রের
একেই বুঝি মানুষ বলে
নষ্ট জলে পা ধুয়েছো এখন উপায় কি?আচ্ছাদিত বুকের বোঁটা চুমোয় কেটেছি।কথার কোলে ইচ্ছেগুলো বাৎসায়নের রতি,মানে এবং অন্য মানে দুটোই জেনেছি।নষ্ট
নান্দী
এসো, ছিনিয়ে নি আমার স্বাধীনতাকথা বলবার স্বাধীনতা,অক্ষরের ডান পাশে অক্ষর বসিয়েশব্দগুলো তৈরী করবার স্বাধীনতাজীবনের স্তোত্র রচনার স্বাধীনতাঅর্থবহ এবং যুক্তিরজ্যোতির্ময় উচ্চারণ
আমাদের এই বাংলাদেশ
সূর্য ওঠার পূর্বদেশ বাংলাদেশ ।আমার প্রিয় আপন দেশ বাংলাদেশ ।আমাদের এই বাংলাদেশ । কবির দেশ বীরের দেশ আমার দেশ স্বাধীন দেশ বাংলাদেশ ।ধানের দেশ
একুশের কবিতা
সভ্যতার মণিবন্ধে সময়ের ঘড়িশিশুর জন্ম থেকে জরাদেহ ক্ষীণশ্বাস মানবের অবলুপ্তির সীমারেখায়বলে গেল সেই কথা। সেই কথা বলে গেল অনর্গল– তপ্তশ্বাস
আমার পরিচয়
আমি জন্মেছি বাংলায়, আমি বাংলায় কথা বলিআমি বাংলার আলপথ দিয়ে, হাজার বছর চলি।চলি পলিমাটি কোমলে আমার চলার চিহ্ন ফেলে।তেরশত নদী