শুনতে পেলাম পোস্তা গিয়ে–
তোমার নাকি মেয়ের বিয়ে?
গঙ্গারামকে পাত্র পেলে?
জানতে চাও সে কেমন ছেলে?
মন্দ নয় সে পাত্র ভালো–
রঙ যদিও বেজায় কালো;
তার উপরে মুখের গঠন
অনেকটা ঠিক প্যাঁচার মতন।
বিদ্যে বুদ্ধি? বলছি মশাই-
ধন্যি ছেলের অধ্যবসায়!
উনিশটি বার ম্যাট্রিকে সে
ঘায়েল হ’য়ে থামল শেষে।
বিষয় আশয়? গরীব বেজায়-
কষ্টে–সৃষ্টে দিন চলে যায়।
মানুষ তো নয় ভাইগুলো তার-
একটা পাগল একটা গোঁয়ার;
আরেকটি সে তৈরী ছেলে,
জাল ক’রে নোট গেছেন জেলে।
কনিষ্ঠটি তবলা বাজায়
যাত্রাদলে পাঁচ টাকা পায়।
গঙ্গারাম তো কেবল ভোগে
পিলের জ্বর আর পাণ্ডু রোগে।
কিন্তু তারা উচ্চ ঘর,
কংসরাজের বংশধর!
শ্যাম লাহিড়ী বনগ্রামের
কি যেন হয় গঙ্গারামের।
যাহোক, এবার পাত্র পেলে,
এমন কি আর মন্দ ছেলে?
ইচ্ছা
মনারে মনা কোথায় যাস?বিলের ধারে কাটব ঘাস। ঘাস কি হবে?বেচব কাল,চিকন সুতোর কিনব জাল। জাল কি হবে?নদীর বাঁকেমাছ ধরব ঝাঁকে