হাজার বছরের বিজয় 

আমি হাজার বছরের স্পন্দিত বিজয় দেখেছি
গাঙ্গের বদ্বীপের পলোল মাটির লাল-সবুজে
বিজয় এসেছে রক্তের ফিনকিতে ভেজা পথে
যে পথে হেঁটেছি আমরা এবং আমাদের পূর্বসূরিরা
শতাব্দীর পর শতাব্দী গভীর আত্ম অনুসন্ধানী
পরিচয় খুঁজেছি জন্ম-জন্মান্তরে স্বদেশ ভূমিতে
রক্তে গাঁথা আমার আকৌকিক বর্ণমালায়।

বারবার সন্ধান করেছি শেকড়ের উৎসের
ফিরে গেছি ৫২ এর একুশে ফেব্রুয়ারিতে
গন্ধ শুকেছি ঝাঁঝালো টিয়ার গ্যাস আর বারুদের
গান শুনছি সন্তানহারা মায়ের করুন ভাষায়
দেখেছি পথে সহস্র পদের নগ্ন প্রভাত ফেরী।

আমি বিস্ময়ে স্পর্শ করেছি কৃষকের কর্ষীত জমিতে
সোনালী ধানের শীষে মাটির বসনে আখিঁর নীড়ে।
আমি বিজয়ের সংস্পর্শ করেছি গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্রের মিঠে পানিতে
উপকুলে আস্রে পরা ঢেউয়ে কাঁকড়া শামুকের ঝাঁকে ।
শিমুলের মধু পান করে আমি বিজযের ঘ্রান নিয়েছি সর্ষে ফুলে
সন্ধ্যায় রমনার বকুলতলায় সকালে ঘাসের শিশিরে।

আমি যখনি হারিয়ে গেছি ফিরেছি পিতার পরিচয়ে
শিশুর মুখের গন্ধ নিয়েছি বারবার আত্মপ্রত্যয়ে
উল্টালেই বইয়ের পাতায় পাতায় গগণ বিদারী আওয়াজ
তুমি নির্ভীক বাঙ্গালী তোমার দেশ বাংলাদেশ।

শেয়ার করুনঃ

প্রাসঙ্গিক

নিষিদ্ধ জার্নাল থেকে

ভোরের আলো এসে পড়েছে ধ্বংসস্তূপের ওপর।রেস্তোরাঁ থেকে যে ছেলেটা রোজপ্রাতরাশ সাজিয়ে দিত আমার টেবিলেরাস্তার মোড়ে তাকে দেখলাম শুয়ে আছে রক্তাপুত

বাকি অংশ »

মাতৃভূমি, কী যেন তোমার নাম ছিলো?

পাঠ্যবই থেকে অপমানে ঝরে পড়েগৌরবের পঙক্তিমালা—৭ই মার্চ প্রশ্ন করে ২৬শে মার্চকেতুমি কি শুনতে পাওজনসমুদ্রে জোয়ারের ধ্বনি?বাংলার বধির পাহাড়ওলজ্জায় নত হয়,সাগরের

বাকি অংশ »

কোন এক মাকে

“কুমড়ো ফুলে ফুলেনুয়ে পড়েছে লতাটা,সজনে ডাঁটায়ভরে গেছে গাছটা,আর, আমি ডালের বড়িশুকিয়ে রেখেছি—খোকা তুই কবে আসবি!কবে ছুটি?” চিঠিটা তার পকেটে ছিল,

বাকি অংশ »

সাম্প্রতিক সংযোজন

বনভূমির ছায়া

কথা ছিল তিনদিন বাদেই আমরা পিকনিকে যাব,বনভূমির ভিতরে আরও গভীর নির্জন বনে আগুন ধরাব,আমাদের সব শীত ঢেকে দেবে সূর্যাস্তের বড়

বাকি অংশ »

খিড়কি

খিড়কি ছিল পাশের বাড়িরখিড়কি ছিল মনেরখিড়কি ছিল যখন তখনখিড়কি কিছুক্ষণের । খিড়কি ছিল পথের পাশেহলুদ গাঁদাফুলের,খিড়কি ছিল আকাশ ভরামেঘের কালোচুলের

বাকি অংশ »
Scroll to Top