তসলিমা নাসরিন
মানুষ — এই শব্দটি আমাকে বড় আলোড়িত করে
হ্যাঁ, এই শব্দটি আমাকে আলোড়িত করেআমি কোনো মানুষবিহীন অরণ্যে বাস করতে পারি না,কোনো নিঝুম ঘরেও, যদি মানুষ না থাকে, গা
এক অপ্রেমিকের জন্য
এই শহরেই তুমি বাস করবে, কাজে অকাজে দৌড়োবে এদিক ওদিককোথাও আড্ডা দেবে অবসরে, মদ খাবে, তুমুল হৈ চৈ করবে,রাত ঘুমিয়ে
রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহকে লেখা চিঠি
প্রিয় রুদ্র, প্রযত্নেঃ আকাশ, তুমি আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখতে বলেছিলে। তুমি কি এখন আকাশ জুড়ে থাকো? তুমি আকাশে উড়ে বেড়াও?
দেহতত্ত্ব
এতকাল চেনা এই আমার শরীরসময় সময় একে আমি নিজেই চিনি না।একটি কর্কশ হাতনানান কৌশল করে চন্দন চর্চ্চিত হাতখানি ছুঁলেআমার স্নায়ুর
এমন ভেঙ্গে চুরে ভালো কেউ বাসেনি আগে
কী হচ্ছে আমার এসব!যেন তুমি ছাড়া জগতে কোনও মানুষ নেই, কোনও কবি নেই, কোনও পুরুষ নেই, কোনওপ্রেমিক নেই, কোনও হৃদয়
দুঃখপোষা মেয়ে
কান্না রেখে একটুখানি বসদুঃখ-ঝোলা একেক করে খোল…দেখাও তোমার গোপন ক্ষতগুলোএ ক’দিনে গভীর কতো হল।ও মেয়ে, শুনছ !বাইরে খানিক মেলে দাও
যদি বাসোই
তুমি যদি ভালোই বাসো আমাকে, ভালোই যদি বাসো,তবে বলছো না কেন যে ভালো বাসো!কেন সব্বাইকে জানিয়ে দিচ্ছ না যে ভালোবাসো!আমার
তালাকনামা
যে কোনও দূরত্বে গেলে তুমি আর আমার থাকো নাতুমি হও যার-তার খেলুড়ে পুরুষ। যে কোনও শরীরে গিয়েশকুনের মতো খুঁটে খুঁটে
মুক্তি
যদি ভুলে যাবার হয়, ভুলে যাও।দূরে বসে বসে মোবাইলে, ইমেইলে হঠাৎ হঠাৎ জ্বালিয়ো না,দূরে বসে বসে নীরবতার বরফ ছুড়ে ছুড়ে
প্রলাপ
একদিন সমুদ্রের কাছে গিয়ে একটা ঘর বাঁধবোমাঝে মধ্যে ইচ্ছে হয় পাহাড়ের কাছে। অমন একলা নির্বাসনের আকাশ চুয়ে শূন্যতার কুয়াশা নামলেঅথৈ
হাত
আবার আমি তোমার হাতে রাখবো বলে হাতগুছিয়ে নিয়ে জীবনখানি উজান ডিঙি বেয়েএসেছি সেই উঠোনটিতে গভীর করে রাতদেখছ না কি চাঁদের
সময়
রাত তিনটেয় ঘুম ভেঙে গেলে এখন আর বিরক্ত হই নারাতে ভালো ঘুম না হলে দিনটা ভাল কাটে না – এমান