যেন বলে ওঠে

আসলে কথারা সব বিলুপ্ত পাখির ঠোঁটে শিলালিপি হয়ে আছে
আসলে কথারা সব নিঃশেষে মুছে গেছে আলোকবর্ষ দূরে
তারাহীন নীল অন্ধকারে
আসলে কথারা এসে ফিরে চলে গেছে সেই
মটরশুঁটির ক্ষেতে, সবুজে সবুজে

তুমি ফিরে এসে সেই শিলালিপি পাঠ করো প্রিয়বন্ধু
কি কথা? কী কথা? এই শিলালিপি ভরে আছে
পাথরের বুকে ঘুম হয়ে!
মৃত তিতিরের ঠোঁটে কোন সে শব্দের রেশ
লেগে আছে লক্ষ বছর ধরে-আমাকে শোনাও!
চলো গিয়ে বসি সেই শব্দহীন তিরতির গ্রামীণ নদীর কাছে
চলো, শুনি, কী কথা বলার ছিল তার
সে-ও তো অনেক কথা উজানে, ভাঁটির টানে বলে ব’য়ে গেছে

তুমি সেই অন্তহীন স্তব্ধতায় শব্দরাশি মুক্ত করে দাও প্রিয়মুখ
তুমি সেই বৃষ্টিধোয়া নিরুচ্চার শব্দগুলো চালচিত্র করে দাও
জীবনে আমার
টুং টাং বেজে যাক অশ্রুত শব্দের কথামালা
অপেক্ষার, প্রতিক্ষার টুকরো টুকরো যতো উন্মীলন
বাগ্ময় হয়ে উঠে আমাকে কাঁদায় যেন
আমাকে ভাসায় যেন বাঁধভাঙা উৎসের অনিবার্য স্রোতো
সব শব্দ মিলে মিশে যেন বলে ওঠে-ভালোবাসি, ভালোবাসি…

শেয়ার করুনঃ

প্রাসঙ্গিক

যে মেয়েটি চলে গেছে

ঐ টুকু তার চাওয়া ছিলএক চিলতের দাওয়াশিউলি শরৎ ছটফটে মেঘসারা আকাশ ছাওয়াযেতে গিয়েও থমকে যাওয়াপ্রানের কুটুমজনঘর পেরিয়ে ধান ভরা মাঠসবুজ

বাকি অংশ »

আজ চৈতালি পূর্ণিমা!

চাঁদ উঠছে, ভয়ের অন্ধকার দূরকরা এক বিশাল রুপোর থালাথেকে গলে গলে নামছে, আহা,ভালোবাসার চন্দ্রমা–কানের কাছে বিরক্তিকর বেজে ওঠা কাঁসর ঘন্টা,ধানিপটকাগুলো

বাকি অংশ »

আঠারো আনার শেষে

বেপরোয়া মনে ভরা প্লাবনের শুধু ছারখার ঢেউ,কিন্তু রাধার যন্ত্রণা বোঝে? কৃষ্ণ নামের কেউ?কৃষ্ণ এখন আঘাটা পেরিয়ে জনপ্রতিনিধি হবে,শেষরাতে ভীরু চাঁদের

বাকি অংশ »

সাম্প্রতিক সংযোজন

বনভূমির ছায়া

কথা ছিল তিনদিন বাদেই আমরা পিকনিকে যাব,বনভূমির ভিতরে আরও গভীর নির্জন বনে আগুন ধরাব,আমাদের সব শীত ঢেকে দেবে সূর্যাস্তের বড়

বাকি অংশ »

খিড়কি

খিড়কি ছিল পাশের বাড়িরখিড়কি ছিল মনেরখিড়কি ছিল যখন তখনখিড়কি কিছুক্ষণের । খিড়কি ছিল পথের পাশেহলুদ গাঁদাফুলের,খিড়কি ছিল আকাশ ভরামেঘের কালোচুলের

বাকি অংশ »
Scroll to Top