শামসুর রাহমান
ছবি আঁকিয়ে
আমার রঙের বাক্স থেকেঢালবো এমন নীল,আকাশ পাতাল খুঁজলে তবুপাবে না তার মিল।আমার তুলির ছোঁয়ায় শাদাপাতায় পড়বে দাগ।হরিণ যাকে ভয় পাবে
তোমারই পদধ্বনি
এই লেখা উঠে এসেছে তোমার স্বদেশের বুক থেকে এই খেলা উঠে এসেছে এ দেশের প্রতিটি নদী থেকে, যে সব নদী তরঙ্গায়িত হতো
পণ্ডশ্রম
এই নিয়েছে ঐ নিল যাঃ! কান নিয়েছে চিলে,চিলের পিছে মরছি ঘুরে আমরা সবাই মিলে।কানের খোঁজে ছুটছি মাঠে, কাটছি সাঁতারবিলে,আকাশ থেকে
ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯
আবার ফুটেছে দ্যাখো কৃষ্ণচূড়া থরে থরে শহরের পথেকেমন নিবিড় হয়ে। কখনো মিছিলে কখনো-বাএকা হেঁটে যেতে যেতে মনে হয়- ফুল নয়,
খোকন গেছে ক্ষীরসাগরে
আলুর পাতা আলুথালু বেগুন পাতায় দই,সাতটা কাকে খেয়ে গেল, খোকন গেল কই?খোকন গেছে পাঠশালাতে লাল গামছা গায়,বইগুলো সব রইল পড়ে
খেল
হাতী নাচছে ঘোড়া নাচছেকদমতলায় কে?সিংহ বলে, আমায় তোরাখ্যাংড়া কাঠি দেয়। হাতী নাচছে ঘোড়া নাচছে,ভালুক নাচে রে।সেই না নাচন দেখে ঈগলবিষম
খুকুমণির বিয়ে
আয়রে আয় টিয়ে,খুকুমণির বিয়ে।সোনার মাদুর পেতেলংকা দেব খেতে।আয়রে টিয়ে ছুটে,ছোলা খাবি খুঁটেটুকটুকে ঠোঁট দিয়ে।লাল জুতুয়া প’রেবর আসবে ঘরে।হেই টিয়ে তুই
আরশোলা
আরশোলা রে আরশোলাদেখে আমার দ্বার খোলাউড়ে এসে বসলি জুড়েচার দেয়ালে কাছে দূরে,বসলি এসে ঝাঁকে ঝাঁকেআলমারিতে বইয়ের তাকে।করলি ঘরের পাড় ঘোলা,আরশোলা
আমায় নিয়ে যা
নীলে ঘোড়া নীলে ঘোড়া পক্ষিরাজের ছা,মেঘড়ুমাড়ুম আকাশপারে তা থৈ তা থৈ তা।মেঘের দোলায় চললি কোথায়, কোন সে অচিন গাঁ?আয়-না নেমে
আতা গাছে, ডালিম গাছে
আতা গাছে চারটি পাখি,ডালিম গাছে তিন-সাতটি পাখি মনের সুখে নাচে তা’ধিন ধিন।সাতটি পাখি সাতটি সুরে গান গেয়ে যায় রোজ,আতা গাছে,
আঁটুল বাঁটুল ছড়া
আঁটুল বাঁটুল শামলা সাঁটুল,শামলা গেছে হাটে।কুঁচবরন কন্যা যিনি,তিনি ঘুমান খাটে। খাট নিয়েছে বোয়াল মাছে,কন্যে বসে কাঁদে,ঘটি বাটি সব নিয়েছে,কিসে তবে
মেষতন্ত্র
মেষরে মেষ তুই আছিস বেশ,মনে চিন্তার নেইকো লেশ। ডানে বললে ঘুরিস ডানে,বামে বললে বামে।হাবে ভাবে পৌঁছে যাবিসোজা মোক্ষধামে।চরায় টিমে তালের