মা শুনলে ভেসে ওঠে সিঁদুরের টিপ
লাল পেড়ে শাড়ি, কোলে দুধের সন্তান
যামিনী রায়ের ছবি, সে তো তুমি নও !
কোথায় লুকিয়ে আছ অন্তরালে, রক্তমাংসময়ী?
মা হওয়া মুখের কথা নয়
হাসিমুখে টিপ সেজে যিনি ঠিক বেছে নেন
শিশুযোগ্য হরলিক্স, বেবি সফট পণ্য রাশি রাশি
সে তো শুধু বিজ্ঞাপন টিং টং স্বপ্নের বাজার !
শিশুর আঙুল ধরে মা চলেছে ইস্কুলে ইস্কুলে
মুখ ধোয়া, ছুঁচু করা, পেনসিল কেনা – মা চলেছে
বাবা শুধু মাঝে মাঝে নিয়ে যায় চিড়িয়াখানায়
প্রতিটি মায়ের মুখে খুঁজে দেখি জননী তোমাকে
‘হাসিমুখে সব সয় সেই তো জননী’
হাজার বছর ধরে শুনে শুনে কান পচে গেল
কে বলেছে সব সইবার দায় শুধু মায়ের?
মাতৃত্ব মহান যদি কুকুরী মায়ের গায়ে ঢিল কে মেরেছে !
ডাস্টবিনে কার শিশু কুকুরীর স্নেহে বেঁচে ওঠে !
মায়ের গা থেকে যতো অতিকথা কবিতা কল্পনা
পলেস্তারা খুলে ফেলে দেখ, তার রক্তের উত্তাপ
তারও বুকে ধক্ ধক্ করে হৃদরোগ, প্রণয়ের ভাষা
মাতৃহত্যা মনে পড়ে ওরেস্টেস, পরশুরামের !
জঠরে দেবকী তুমি পালনে যশোধা হতে হবে
গার্ডিয়ানশিপ তবু এই রাষ্ট্র তোমাকে দিল না
মায়ের পেটের মধ্যে তিলে তিলে ন’মাস ন’দিন
হোমোসেপিয়েনগুলি বেড়ে উঠে ভুলে যায় তাকে।