একুশের কবিতা

আজ আমি কোথাও যাবনা। আমি কিছু করবো না,আজ
সূর্যের পিয়ন এসে দরজায় যতো খুশী কড়া নেড়ে যাক,স্নান ঘরে
অবিরল ঝরুক শাওয়ার, ভেসে যাক প্রভাত ফেরীর গান
ক্যাম্পাসের সমস্ত আকাশে,সুগম্ভীর শহীদ মিনারে
ছাত্রদের প্রগাঢ় অঞ্জলি থেকে পড়ুক অজস্র ফুল,মেয়েদের
সুললিত হাতে
লেখা হোক নতুন আলপনা,পৃথিবীর সমস্ত বেতার কেন্দ্র থেকে
উসারিত হোক রবিঠাকুরের গান,আমি তবু
কোথাও যাবো না আজ আমার নিজস্ব জন্মদিনে।

আমার ২১তম জন্মদিনে শহরের তোরণে
জ্বলে উঠবে আলো,নি:সঙ্গ মেঘনার মাঝি
নৌকা বেয়ে যাবে ,আজ স্বদেশী ফুলের গন্ধে সমস্ত বাংলার বুক
ভরে উঠবে গভীর স্বস্তিতে, নিষেধের ত্রস্ত ব্যারিকেড
আজ কেউ তুলবে না সঙ্গীতের সহজ জলসায় ,আজ আমার
নিজস্ব জন্মদিনে
মা,তোমার উষ্ণ কোলে আহত অবুঝ মাথা রেখে
আমি শুধু শুয়ে থাকবো,আমার সোনালী লম্বা চুলে
তোমার নি:শ্বাস ঢেউ তুলে যাবে,আমি আজ কিছুই করবো না,
শুধু
চেয়ে চেয়ে দেখব এক অলৌকিক গর্বে দীপ্ত সম্রাজ্ঞীর মতন
তোমাকে।

শেয়ার করুনঃ

প্রাসঙ্গিক

একুশে ফেব্রুয়ারি

একুশ আমার বোনের দুঃখমায়ের চোখের জল। একুশ আমার ভায়ের রক্তচির-সমুজ্জ্বল। একুশ আমার পিতার আক্রোশপুত্রের তাজা খুন। একুশ আমার অস্তিত্বের রথবাংলাদেশের

বাকি অংশ »

এই অক্ষরে

এই অক্ষর যেন নির্ঝরছুটে চলা অবিরামযেন কিছু তারা দিচ্ছে পাহারাআকাশেতে লিখে নাম।অক্ষরগুলি চায় মুখ তুলিঅন্তরে জাগে গান,শিখি তার কাছে অজানাযা

বাকি অংশ »

ফেব্রুয়ারির গান

দোয়েল কোয়েল ময়না কোকিলসবার আছে গানপাখির গানে পাখির সুরেমুগ্ধ সবার প্রাণ। সাগর নদীর ঊর্মিমালারমন ভোলানো সুরনদী হচ্ছে স্রোতস্বিনীসাগর সমুদ্দুর। ছড়ায়

বাকি অংশ »

সাম্প্রতিক সংযোজন

বনভূমির ছায়া

কথা ছিল তিনদিন বাদেই আমরা পিকনিকে যাব,বনভূমির ভিতরে আরও গভীর নির্জন বনে আগুন ধরাব,আমাদের সব শীত ঢেকে দেবে সূর্যাস্তের বড়

বাকি অংশ »

খিড়কি

খিড়কি ছিল পাশের বাড়িরখিড়কি ছিল মনেরখিড়কি ছিল যখন তখনখিড়কি কিছুক্ষণের । খিড়কি ছিল পথের পাশেহলুদ গাঁদাফুলের,খিড়কি ছিল আকাশ ভরামেঘের কালোচুলের

বাকি অংশ »
Scroll to Top