আমাদের বাবারা ছিলেন সাহসী যোদ্ধা
তরবারি আর তেজী ঘোড়ার পিঠে চড়ে
বন মাঠ গ্রামান্তর ঘুরে বেড়াতেন
ছিলেন ইস্পাতের মত দৃঢ়, ঝড়ের মত বাধাহীন
মৃত্যু তার কাছে ছিলো প্রাত্যহিক
জলপানের মত তুচ্ছ এবং সামান্য।
একবার বন্দুকের গুলি এসে
লেগেছিলো তার হাতের তালুতে
তার শিরস্ত্রাণ ভেদ করে গিয়েছিলো ধারালো ফলা
বক্ষ বিদীর্ণ করেছিলো শত্রুর মেশিনগান
তিনি তবু যুদ্ধক্ষেত্র থেকে,
পালিয়ে আসার কথা ভাবেননি
আমাদের পিতারা ছিলেন রণাঙ্গনের যিশু।
আমরা, তার কিছুই হতে পারিনি
এতোকাল সমাধির পাশে আছি তবু।
হে সময়, অনন্ত মহাকাল—আমরা কি আমাদের
পিতাদের মতো গর্জে উঠতে পারবো না
প্রকম্পিত হবার মতো কোনো শিখাই কি আর
আমাদের রক্তে অবশিষ্ট নেই?
আমাদের জননীরা, আমাদের শোনাতেন
কল্যাণ আর চমৎপ্রদ ফসলের কাহিনি
বলতেন আগামী দিনের আলোকিত সম্ভাবনার কথা
আমরা তার মতো জীবন তৈরি করতে পেরেছি?
আমরা কি সেরকম উজ্জ্বল কোনো ফুলের জন্ম দিতে পেরেছি?
আমরা হয়ে উঠেছি কপট বণিক, ভীরু
কাপুরুষ আর ভরা শস্যের ক্ষেতে সুচতুর ইঁদুর।
আমরা কি কোনোদিন আমাদের পিতাদের মতো হতে পারবো না?
আমরা কি কোনোদিন আমাদের জননীর দুঃখ ঘোচাতে পারবো না?
তুমুল তমসা ভেঙে সূর্যের কাছাকাছি পৌঁছুতে পারবো না
ধান আর গানের সমান ভাগাভাগির কথা বলতে পারবো না?