এবং লখিন্দর! 

হৃদয় তোমাকে পেয়েছি, স্রোতস্বিনী!
তুমি থেকে থেকে উত্তাল হয়ে ছোটো,
কখনো জোয়ারে আকণ্ঠ বেয়ে ওঠো
তোমার সে-রূপ বেহুলার মতো চিনি।
তোমার উৎসে স্মৃতি করে যাওয়া আসা
মনে-মনে চলি চঞ্চল অভিযানে,
সাহচর্যেই চলি, নয় অভিমানে,
আমার কথায় তোমারই তো পাওয়া ভাষা।
রক্তের স্রোতে জানি তুমি খরতোয়া,
ঊর্মিল জলে পেতেছি আসনপিঁড়ি,
থৈথৈ করে আমার ঘাটের সিঁড়ি,
কখনো-বা পলিচড়া-ই তোমার দোয়া।
তোমারই তো গান মহাজনী মাল্লার,
কখনো পান্সী-মাঝি গায় ভাটিয়ালি,
কখনো মৌন ব্যস্তের পাল্লায়,
কখনো-বা শুধু তক্তাই ভাসে খালি।
কত ডিঙি ভাঙো, যাও কত বন্দর,
কত কী যে আনো, দেখো কত বিকিকিনি,
তোমার চলায় ভাসাও, স্রোতস্বিনী,

শেয়ার করুনঃ

প্রাসঙ্গিক

তুমিই মালিনী 

তুমিই মালিনী, তুমিই তো ফুল জানি ।ফুল দিয়ে যাও হৃদয়ের দ্বারে, মালিনী,বাতাসে গন্ধ, উৎস কি ফুলদানি,নাকি সে তোমার হৃদয়সুরভি হাওয়া

বাকি অংশ »

জল দাও 

তোমার স্রোতের বুঝি শেষ নেই, জোয়ার ভাঁটায়এ-দেশে ও-দেশে নিত্য ঊর্মিল কল্লোলেপাড় গড়ে পাড় ভেঙে মিছিলে জাঠায়মরিয়া বন্যায় যুদ্ধে কখনো-বা ফল্গু

বাকি অংশ »

বাংলাই আমাদের 

আমরা বাংলার লোক,বাংলাই আমাদের, এদের ওদের সবার জীবন |আমাদের রক্তে ছন্দ এই নদি মাঠ ঘাটএই আমজাম বন,এই স্বচ্ছ রৌদ্রজলে অন্তরঙ্গ

বাকি অংশ »

সাম্প্রতিক সংযোজন

বনভূমির ছায়া

কথা ছিল তিনদিন বাদেই আমরা পিকনিকে যাব,বনভূমির ভিতরে আরও গভীর নির্জন বনে আগুন ধরাব,আমাদের সব শীত ঢেকে দেবে সূর্যাস্তের বড়

বাকি অংশ »

খিড়কি

খিড়কি ছিল পাশের বাড়িরখিড়কি ছিল মনেরখিড়কি ছিল যখন তখনখিড়কি কিছুক্ষণের । খিড়কি ছিল পথের পাশেহলুদ গাঁদাফুলের,খিড়কি ছিল আকাশ ভরামেঘের কালোচুলের

বাকি অংশ »
Scroll to Top