তালাকনামা

যে কোনও দূরত্বে গেলে তুমি আর আমার থাকো না
তুমি হও যার-তার খেলুড়ে পুরুষ।

যে কোনও শরীরে গিয়ে
শকুনের মতো খুঁটে খুঁটে রূপ ও মাংস তুমি আহার করো
গণিকা ও প্রেমিকার শরীরে কোনও পার্থক্য বোঝো না।

কবিতার চে’ চাতুর্য বোঝো ভাল,
রাত্রি এলে রক্তের ভেতর টকাশ-টকাশ দৌড়ে যায়
একশো একটা লাগামহীন ঘোড়া,
রোমকূপে পূর্বপুরুষ নেচে উঠে তাধিন-তাধিন।
আমি জোস্নার কথা তোমাকে অনেক বলেছি
তুমি অমাবস্যা ও পূর্ণিমার কোনও পার্থক্য বোঝো না।
ভালবাসার চে’ প্রাচুর্য বোঝো বেশি
যে কারও গোড়ালির নীচ থেকে চেটে খাও
এক ফোঁটা মদ, লক্ষ গ্যালন মদে আমুণ্ডু ডুবে
তবু তোমার তৃষ্ণা ঘোচে না।
তোমাকে স্বপ্নের অথা অনেক বলেছি
সমুদ্র ও নর্দমার ভেতরে তুমি কোনও পার্থক্য বোঝো না।
যে কোনও দূরত্বে গেলে তুমি হও যার-তার খেলুড়ে পুরুষ।
যার-তার পুরুষকে আমি আমার বলি না।

শেয়ার করুনঃ

প্রাসঙ্গিক

একটি দুর্বোধ্য কবিতা

এবার লক্ষ্মীশ্রী মুছে গেছেলেগেছে কি তীব্র রূপটানএইবার পথে বেরোলেইসকলের চক্ষু টানটানবাড়ি ফিরে সেই এক সংসারসেই এক সাধারণ স্বামীআজ শান্ত, কাল

বাকি অংশ »

মৃণালের পত্র

সেই ছুটুবেলাতে আমাদেরপাহাড় কোলের জোড়েলদী পেরাতে যাইয়েএক আষাঢ় মাসের হড়কা বানেআমি আর আমার ভাইভাস্যে গেছলম বানের তোড়েভাইটি গেল ডুবে আমি

বাকি অংশ »

সাম্প্রতিক সংযোজন

বনভূমির ছায়া

কথা ছিল তিনদিন বাদেই আমরা পিকনিকে যাব,বনভূমির ভিতরে আরও গভীর নির্জন বনে আগুন ধরাব,আমাদের সব শীত ঢেকে দেবে সূর্যাস্তের বড়

বাকি অংশ »

খিড়কি

খিড়কি ছিল পাশের বাড়িরখিড়কি ছিল মনেরখিড়কি ছিল যখন তখনখিড়কি কিছুক্ষণের । খিড়কি ছিল পথের পাশেহলুদ গাঁদাফুলের,খিড়কি ছিল আকাশ ভরামেঘের কালোচুলের

বাকি অংশ »
Scroll to Top