অন্যান্য কবিতা
বনভূমির ছায়া
কথা ছিল তিনদিন বাদেই আমরা পিকনিকে যাব,বনভূমির ভিতরে আরও গভীর নির্জন বনে আগুন ধরাব,আমাদের সব শীত ঢেকে দেবে সূর্যাস্তের বড়
বৃষ্টি চিহ্নিত ভালোবাস
মনে আছে একবার বৃষ্টি নেমেছিল? একবার ডাউন ট্রেনের মতো বৃষ্টি এসে থেমেছিলআমাদের ইস্টিশনে— সারাদিন জল ডাকাতের মতোউৎপাত শুরু কোরে দিয়েছিল
ক্ষেত মজুরের কাব্য
মুগর উঠছে মুগর নামছে ভাঙছে মাটির ঢেলা, আকাশে মেঘের সাথে সূর্যের জমেছে মধুর খেলা। ভাঙতে ভাঙতে বিজন মাঠের কুয়াশা গিয়েছে কেটে, কখন শুকনো মাটির তৃষ্ণা শিশির
আসমানী
আসমানীরে দেখতে যদি তোমরা সবে চাও, রহিমদ্দির ছোট্ট বাড়ি রসুলপুরে যাও। বাড়ি তো নয় পাখির বাসা ভেন্না পাতার ছানি, একটুখানি বৃষ্টি হলেই গড়িয়ে
কৃপণ
আমি ভিক্ষা করে ফিরতেছিলেমগ্রামের পথে পথে,তুমি তখন চলেছিলেতোমার স্বর্ণরথে।অপূর্ব এক স্বপ্ন-সমলাগতেছিল চক্ষে মম-কী বিচিত্র শোভা তোমার,কী বিচিত্র সাজ।আমি মনে ভাবেতেছিলেম,এ
আত্মত্রাণ
বিপদে মোরে রক্ষা করো,এ নহে মোর প্রার্থনা-বিপদে আমি না যেন করি ভয়।দুঃখতাপে ব্যথিত চিতেনাই বা দিলে সান্ত্বনা,দুঃখে যেন করিতে পারি
ত্রাণ
এ দুর্ভাগ্য দেশ হতে, হে মঙ্গলময়,দূর করে দাও তুমি সর্ব তুচ্ছ ভয় –লোকভয়, রাজভয়, মৃত্যুভয় আর।দীনপ্রাণ দুর্বলের এ পাষাণভারএই চির
সীমারেখা
পোশাকেও ঢেকে থাকে রাত্রীর নিবিড় কালো ঢেউ,তারই মধ্যে ভেসে থাকে অনুজ্জ্বল নক্ষত্রের তিল।অতখানি দূর থেকে গেঁথে যায় চোখের মণিতে।সেইখান থেকে
এই হেমন্তে
হয়তোবা ইউক্যালিপটাসবংশে আমার জন্ম হয়েছিল গত শতাব্দীতে।প্রচুর কান্নার জল ক্রমাগত সঞ্চয় করেছি,তবু আমি কাঁদতে পারি না। আমি স্থির বিষণ্ণতা—এতটা আমি
আদমের কথা
হাওয়াকে অনেক বুঝিয়েছি।এ রকম ছোটাছুটি ভালো নয়, শান্ত হও, ধীরস্থির হও;খানিক বিশ্রাম নাও ঘাসের ওপর,ফড়িঙের সাথে গল্প করো। দিন নেই
আমার মন
ওকে নিয়ে আমি আর পারছি না— বেয়াড়া, নিলাজ,যখনতখন আমাকে অস্থির করে,উদ্বিগ্ন হয়ে তাকে খুঁজি। ঘুড়ির মেলায় কিংবা সাপের খেলায়, যখন
আমি একদিন নিখোঁজ হবো
আমি একদিন সন্ধ্যা হবঅন্ধকারে হারিয়ে ফেলে খুঁজবে যখনবটের ধারে ধানসিঁড়িদের কান্না হবো।মাঝির হঠাৎ অবাক ভুলে বৈঠা হারা নায়ের মতনআমিও অমন