তোমার চোখের মতো কয়েকটি চামচ পড়ে আছে দ্যাখো প্রশান্ত টেবিলে
আমার হাতঘড়ি
নীল ডায়ালের তারা জ্বলছে মৃদু আমারই কব্জিতে!
ট্যুরিস্টের মতো লাগছে দেখতে আমাকে
সাংবাদিকের মতো ভীষণ উৎসাহী
এ মুহূর্তে সিগ্রেটের ছাই থেকে
শিশিরের নত নম্র অপেক্ষার কষ্টগুলি ঝেড়ে ফেলছি কালো এ্যাশট্রেতে,
রেস্তোরাঁয় তুমি কি আসবে না আজ রানী?
তোমার কথার মতো নরম সবুজ
কেকগুলি পড়ে আছে একটি পিরিচে
তোমার চোখের মতো কয়েকটি চামচ
তোমার হাসির মতো উড়ছে চাইনিজ পর্দা রেস্তোরাঁর
একটি নীল প্রজাপতি পর্দার বুনট থেকে উড়ে এসে
ঢুকে গেছে আমার মাথায়।
টুং টাং পেয়ালা পিরিচ বাজছে চারপাশে মিহি ঝর্ণার আঙ্গুলের,
শহরে আজকাল শুনি দুর্ঘটনার কথা
আত্মহত্যা গেছে বেড়ে,
সবাই আমরা আজ সভ্যতার সচ্ছল শিকার।
হতে পারে তুমি একটি নির্জন স্ট্রীটে
এক গাছের তলায় পড়ে আছো মৃত
তোমার মুখের ‘পরে লাল পিঁপড়ে শুষে নিচ্ছে
তোমার সৌন্দর্য্য আর
এসে গেছে রিপোর্টার ক্যামেরা ঝুলিয়ে
হয়তো বা কাল দেখা যাবে পত্রিকায়
মৃত্যুর খবরে শিরোনামা
অসনাক্ত লাশ একটি পাওয়া গেছে কোনো এক স্ট্রীটে
ছবি থাকবে দক্ষ ক্যামেরার, ভাঙ্গাচোরা;
কেবল একটি চোখ, নিরীহ একটি চোখ, আহত একটি চোখ,
ভালোবাসা-ভরা একটি চোখ দেখে বুঝতে পারবো;
তুমি কাল পথিমধ্যে মারা গেছো,
তোমার মৃত্যুর জন্য আমি কি তখন নিজেকেই দায়ী করবো
নাকি সভ্যতাকে?