তোমাকে বলেছিলাম
কোজাগরীর চাঁদ চোরাগোপ্তা মেঘের
কোঁচকানো ভুরু সহ্য করবে না
দেখলে, মিলে গেল!
ঠিক পাঁচটায় কেমন ঝাঁটপাট দেওয়া
তকতকে আকাশের উঠোন
যেন উপবাসসুন্দর একটি মেয়ে
একমনে এঁকে যাবে মা-লক্ষ্মীর পায়ের ছাপ
তরপরেই, পশ্চিমে যাই যাই সুয্যি
আর, পুবে, উঠি উঠি।
সোনার থালা!
দেখলে, কেমন অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেল!
আমার সমস্ত কবিতা ভেসে গেল
জোছনার বানভাসিতে!
তোমাকে বলেছিলাম-
শত অন্ধকারের কোন ফাঁক দিয়ে
বৃদ্ধ শালের কোন ফোকর গলে
গড়িয়ে পড়বে সাতরঙা আলো
ঘাসফুলের কুঁড়িতে।
তারপর কুঁড়ি থেকে ফুল
ফুল থেকে দলছুট গন্ধ
গন্ধ থেকে কানাকানি
কানাকানি থেকে হাট
হাট থেকে মোড়ল, মোড়ল থেকে বিচার,
বিচার থেকে ফাঁসি
অমরত্ব থেকে উপকথা
উপকথা থেকে গান ।
গান মানে ভালোবাসা
ভালোবাসা মানে কোজাগরীর চাঁদ
জোছনায় পা ডুবিয়ে
সারারাত বসে থাকা অরণ্য বাংলোয়।
নাম-না-জানা কে জানে কার
আকুল ডাক!
চাঁদের দিকে ডানা মেলা
রাতচরা একঝাঁক পাখির দুঃসাহস।
কোজাগরী মানে
মৌসুমি মেঘের মিষ্টি হেসে বলা যাই…
তোমাকে বলেছিলাম
মনে আছে?