একটি দুর্বোধ্য কবিতা

এবার লক্ষ্মীশ্রী মুছে গেছে
লেগেছে কি তীব্র রূপটান
এইবার পথে বেরোলেই
সকলের চক্ষু টানটান
বাড়ি ফিরে সেই এক সংসার
সেই এক সাধারণ স্বামী
আজ শান্ত, কাল উদাসীন
বই নিয়ে আছে তো আছেই
অভিযোগ করাই বোকামী
অবশ্য মানুষটা ভালোই
নেশা নেই, ঠিক সময়ে ফেরে
অসুখ হলে উতলাও হয়
ছুটি নেয়, সেবা যত্ন করে
আমি ছাড়া অন্যকে জানে না
তাতেই কি সব হয়, বলুন ?
সব কিসে হয় মা জননী ?
বলো সে-কারণগুলি খুঁজি
এই বাড়ি ছাড়া অন্য বাড়ি
গেলে সব পেয়ে যেতে বুঝি ?
সারাদিন সেই এক সংসার
সেই এক জানালা আর ছাদ
কাজের লোকের তদারকি
ন’টাও ও বেরিয়ে গেলেই
সমস্যা ও স্মৃতিকথা-সহ
সেই একই শ্বশুর শাশুড়ি
সে কবে কলেজবেলা ছিল
ছিল কত সাইকেল-যুবক
তাদের ফিরিয়ে দেওয়া ছিল
সুন্দর ফিরিয়ে-দেওয়াগুলি
আজ মনে পড়ে কি পড়ে না
আজ বুঝি কুড়িতেই বুড়ি !
কুড়ি নয় তিনের কোঠায় ।
এইবার ঝরে যাবে ধার—
দিন, বুঝি দিন চলে গেল
চোখ থেকে মুগ্ধতা পাবার ।
কদিন, কয়েকদিন পরে
কেউ যদি না তাকায় আর ?
আজ আরও ছোট হোক চুল
খাটো হোক অঙ্গের বসন
আরো যত্নে মাজা হোক ত্বক
আরো তীব্র বাঁকা হোক ভুরু
এইবার পথে বেরোলেই
কী জিনিস বেরিয়েছে, গুরু !
এইতো লক্ষ্মীশ্রী মুছে গেছে
আজ থেকে জেল্লা মার-মার
আজ থেকে স্বাধীনতা জারি
কাল ছিলে বধুমাতা, আজ
নারীমাংস, নারীমাংস, নারী…
পথে পথে সহস্র পুরুষ
মনে মনে নোংরা করবে তোকে
তাই নিয়ে অবুঝের মতো
গর্ব হবে তোর, হতভাগী
আমি কবি, দুর্বল মানুষ
কী ভাবে বাঁচাব তোকে, ভাবি…

শেয়ার করুনঃ

প্রাসঙ্গিক

প্রাক্তন

ঠিক সময়ে অফিসে যায়?ঠিক মতো খায় সকালবেলা?টিফিনবাক্স সঙ্গে নেয় কি?না ক্যান্টিনেই টিফিন করে?জামা কাপড় কে কেচে দেয়?চা করে কে আগের

বাকি অংশ »

ভরত মণ্ডলের মা

বৃদ্ধা বললেন:‘আমার এক ছেলে গেছে,আরেক ছেলে কে নিয়ে যাকজমি আমি দেব না ওদের |এই যে হাত দু’টো দেখছো বাবা…’ব’লে তাঁর

বাকি অংশ »

সাম্প্রতিক সংযোজন

বনভূমির ছায়া

কথা ছিল তিনদিন বাদেই আমরা পিকনিকে যাব,বনভূমির ভিতরে আরও গভীর নির্জন বনে আগুন ধরাব,আমাদের সব শীত ঢেকে দেবে সূর্যাস্তের বড়

বাকি অংশ »

খিড়কি

খিড়কি ছিল পাশের বাড়িরখিড়কি ছিল মনেরখিড়কি ছিল যখন তখনখিড়কি কিছুক্ষণের । খিড়কি ছিল পথের পাশেহলুদ গাঁদাফুলের,খিড়কি ছিল আকাশ ভরামেঘের কালোচুলের

বাকি অংশ »
Scroll to Top