সবুজ শাড়িতে ফের এতো রক্ত কেন?
এই অপুষ্টির দেশে এতো রক্ত, তাজা, টকটকে লাল,
এতো রক্ত অকস্মাৎ এল কোথা থেকে?
এতো রক্ত কার? নিবিড় উষ্ণতা মাখা
যৌবনের অপরূপ আলপনা আঁকা এমন উষ্ণতা কার?
আটপৌরে মমতার মতো নিঃশর্ত পড়েছে ঝরে পথে,
ফুটপাতে, রাজধানী, মায়াবিনী পিচের শহরে।
এতো রক্ত কার?গাঢ় কুয়াশার মতো অবিরাম নিঃশব্দে পড়েছে ঝরে,
দীর্ঘ অন্ধকার করিডোরে সূর্যের সুতীব্র রশ্মির মতোন
তীক্ষ্ণ অহঙ্কারে আপন অস্তিত্বে আপনি উঠেছে জ্বলে;
এ-রকম উজ্জ্বলতা পেলো কোথা থেকে?
বিদ্রোহের সর্বগ্রাসী দাবানলসম নেচে নেচে
সর্বত্র চলেছে ছুটে এমন আশ্চর্য গতি,
অপূর্ব সাহস ক্ষিপ্র এল কোথা থেকে?
এতো রক্ত কার, গেঁয়ো কৃষকের মতো সারা গায়ে
ছোপ ছোপ স্যাঁতসেঁতে মাটির মমতা মাখা,
এতো উদ্দামতা পেলো কোথা থেকে?
একি সেই ভূমিহীন উদ্ধত কৃষক তবে? নাকি কোনো বেকার শ্রমিক?
এতো রক্ত কার? ঘামের গন্ধের মতো এমন সুগন্ধি মাখা
মিলের ধোঁয়ার মতো কেমন ছোঁয়াচে মনে হয়;
এমন কী শোষকের রক্তচোখে বিচিত্র বর্ণের এক আতঙ্ক জাগায়।
এতো রক্ত কার? পলাশ—কৃষ্ণচূড়ার মতো টকটকে লাল,
বায়ান্নের গুলিবিদ্ধ চেতনার মতো দৃপ্ত আবেগে
উত্তাল এমন আবেগ কার? তবে কি এসেছে ফিরে সালাম-জব্বার?
ফাগুনের এই প্রথম দিবসে বারুদের প্রিয় গন্ধমাখা এতো রক্ত কার?
অক্টোবর বিপ্লবের মতো অজর-অমর
এই রক্তধারা আসে কোথা থেকে?
একি তবে প্রিয় আসাদের শার্ট?
মুজিবের তিমিরবিনাশী বজ্র কণ্ঠস্বর?
এযে বড়ো চেনা চেনা লাগে, একি স্বজন আমার?