দেহতত্ত্ব
এতকাল চেনা এই আমার শরীরসময় সময় একে আমি নিজেই চিনি না।একটি কর্কশ হাতনানান কৌশল করে চন্দন চর্চ্চিত হাতখানি ছুঁলেআমার স্নায়ুর […]
এতকাল চেনা এই আমার শরীরসময় সময় একে আমি নিজেই চিনি না।একটি কর্কশ হাতনানান কৌশল করে চন্দন চর্চ্চিত হাতখানি ছুঁলেআমার স্নায়ুর […]
কান্না রেখে একটুখানি বসদুঃখ-ঝোলা একেক করে খোল…দেখাও তোমার গোপন ক্ষতগুলোএ ক’দিনে গভীর কতো হল।ও মেয়ে, শুনছ !বাইরে খানিক মেলে দাও
যে কোনও দূরত্বে গেলে তুমি আর আমার থাকো নাতুমি হও যার-তার খেলুড়ে পুরুষ। যে কোনও শরীরে গিয়েশকুনের মতো খুঁটে খুঁটে
তুমি মেয়ে,তুমি খুব ভাল করে মনে রেখোতুমি যখন ঘরের চৌকাঠ ডিঙোবেলোকে তোমাকে আড়চোখে দেখবে।তুমি যখন গলি ধরে হাঁটতে থাকবেলোকে তোমার
কন্যা সন্তান প্রসব করার অপরাধেআসামের যে মেয়েটাকে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল ?আজ তার মৃত্যু বার্ষিকী।যে কবি সেদিন তার নিরানব্বইতম কবিতাটিমেয়েটাকে উৎসর্গ
ঘরে ফেরা কি এতটা কঠিন?ঘর তো আর আকাশ নয়, ফিরতে গেলে পাখি হতে হয়।পাখির মতো দুটো ডানা থাকতে হয়। পায়ে
কেউ একটা তো চাই, টিপ সরে গেলেআয়নার মতো বলবে ‘টিপ বাঁকা পরেছ।’চোখের কাজল লেপটে গেলে ধরিয়ে দেবে।কেউ একটা তো চাই,
ওরা কারো কথায় কান দেয় না, যা ইচ্ছে তাই করে,কারও আদেশ উপদেশের তোয়াককা করে না,গলা ফাটিয়ে হাসে, চেঁচায়, যাকে তাকে
তোমাকে বলেছে –আস্তে, বলেছে –ধীরে.বলেছে –কথা না,বলেছে –চুপ।বলেছে– বসে থাকো,বলেছে– মাথা নোয়াও,বলেছে — কাঁদো। তুমি কি করবে জানো?তুমি এখন উঠে
নারী কি নদীর মতোনারী কি পুতুল,নারী কি নীড়ের নামটবে ভুল ফুল। নারী কি বৃক্ষ কোনোনা কোমল শিলা,নারী কি চৈত্রের চিতানিমীলিত