একুশের ছড়া/কবিতা

যত দূরেই যাচ্ছিতোদের পায়ের শব্দ পাচ্ছি।তোরা আমার সঙ্গ ছাড়িস না,আঁচল পেতে আছেন বসেঐ আমাদের মা,একজোটে ঐ দুঃখিনীটির ঘরের দাওয়ায় যাবো খুঁদকুড়ো […]

বুকের রক্ত মুখে তুলে যারা মরেওপারে ঢাকায় এপারের শিলচরেতারা ভালোবাসা-বাংলাভাষার জুড়ি—উনিশে মে আর একুশে ফেব্রুয়ারি। সিঁদুর কুড়িয়ে নেওয়া যায় এক

তুমি কোনোদিন কাউকে বলো না—–কবিতা এখন আমাকে ফাঁকি দিয়ে বর্ণমেলার হাত ধরে ঘুরে বেড়াচ্ছে টি এস সি থেকে দোয়েল চত্বর,হাকিম চত্বর,বাংলা

আম্মা তাঁর নামটি ধরে একবারও ডাকবে না তবে আর?ঘূর্ণি ঝড়ের মতো সেই উম্মথিত মনের প্রান্তরেঘুরে ঘুরে জাগবে, ডাকবে,দুটি ঠোঁটের ভেতর

সূর্য ওঠার পূর্বদেশ বাংলাদেশ ।আমার প্রিয় আপন দেশ বাংলাদেশ  ।আমাদের এই বাংলাদেশ । কবির দেশ বীরের দেশ আমার দেশ স্বাধীন দেশ বাংলাদেশ ।ধানের দেশ

শেকলে বাঁধা শ্যামল রূপসী, তুমি-আমি, দুর্বিনীত দাসদাসী-একই শেকলে বাঁধা প’ড়ে আছি শতাব্দীর পর শতাব্দী।আমাদের ঘিরে শাঁইশাঁই চাবুকের শব্দ, স্তরে স্তরে

বাংলা আমার মাতৃভাষাবাংলা আমার জন্মভূমি।গঙ্গা পদ্মা যাচ্ছে ব’য়ে,যাহার চরণ চুমি।ব্রহ্মপুত্র গেয়ে বেড়ায়,যাহার পূণ্য-গাথা!সেই-সে আমার জন্মভূমি,সেই-সে আমার মাতা!আমার মায়ের সবুজ আঁচলমাঠে

আমি বাংলায় গান গাই,আমি বাংলার গান গাই,আমি আমার আমিকে চিরদিন এইবাংলায় খুঁজে পাই। আমি বাংলায় দেখি স্বপ্ন,আমি বাংলায় বাঁধি সুর-আমি

বার বার ফিরে আসে রক্তাপ্লুত শার্টময়দানে ফিরে আসে, ব্যাপক নিসর্গে ফিরে আসে,ফিরে আসে থমথমে শহরের প্রকাণ্ড চোয়ালে।হাওয়ায় হাওয়ায় ওড়ে, ঘোরে