বিরহের কবিতা

আন্ধার তোরঙ্গে তুমি সারাদিন কর কি তালাশ?মেঘের ভিতর তুমি দ্যাখ কোন পাখির চক্কর?এমন সরল পথ তবু ক্যান পাথরে টক্কর?সোনার সংসার […]

জামার ভিতর থিকা যাদুমন্ত্রে বারায় ডাহুক,চুলের ভিতর থিকা আকবর বাদশার মোহর,মানুষ বেকুব চুপ,হাটবারে সকলে দেখুককেমন মোচড় দিয়া টাকা নিয়া যায়

বর্তমানে মুক্তকচ্ছ, ভবিষ্যৎ হোঁচটে ভরা,মাঝে মাঝে মনে হয়,দুর্মুখ পৃথিবীকে পিছনে রেখেতোমাকে নিয়ে কোথাও স’রে পড়ি |নদীর উপরে যেখানে নীল আকাশ

হিংস্র পশুর মতো অন্ধকার এলো—তখন পশ্চিমের জ্বলন্ত আকাশ রক্তকরবীর মতো লালসে-অন্ধকার মাটিতে আনলো কেতকীর গন্ধ,রাতের অলস স্বপ্নএঁকে দিল কারো চোখে,সে-অন্ধকার

ভুলে যাওয়া গন্ধের মতোকখনো তোমাকে মনে পড়ে |হাওয়ার ঝলকে কখনো আসে কৃষ্ণচূড়ার উদ্ধত আভাস |আর মেঘের কঠিন রেখায়আকাশের দীর্ঘশ্বাস লাগে

স্তব্ধরাত্রে কেন তুমি বাইরে যাও?আকাশে চাঁদ নেই, আকাশ অন্ধকার,বিশাল অন্ধকারে শুধু একটি তারা কাঁপে,হাওয়ায় কাঁপে শুধু একটি তারা। কেন তুমি

দাড়িয়ে দুরে অনেকদিনের চেনা।আজকাল যার সঙ্গে থাকো, সে না।একলা তুমি কফিশপের ভেতরঝগড়া করে পালিয়ে এলে। সে তা।দাঁড়িয়ে আছে উল্টো ফুটপাতেআগের

মেঘের নিচে লাইন পাতা। ট্রেন চলে না।সকাল থেকেই দিচ্ছে হাওয়া ইচ্ছে বুড়িহাত বাড়িয়ে বর্ষাকালের মিছরি কেনা…মনখারাপের সাক্ষী কেবল ইলশেগুঁড়ি।জানলা খোলা,

একদিন যেই আমি বাসে চেপে দূরে যাবকালো আকাশের নীচে বুঝি কোনও চা-দোকানেকথা হবে মানুষের। দু’জন থাকিবে চুপ।দেহাতি ধরণ। কে যাবে

শেষ দেখা পানপাত্র হাতে।বলেছিলে, ‘সাবধানে যেও’।শীত ছিল। আলখাল্লা গান…তোমার তো সুরই পরিধেয়। শেষ আড্ডা সারিগান নিয়ে।তুমি কথা বলছিলে মাটির –তোমারই