মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ছড়া /কবিতা

নদীর জলে আগুন ছিলোআগুন ছিলো বৃষ্টিতেআগুন ছিলো বীরাঙ্গনারউদাস-করা দৃষ্টিতে।আগুন ছিলো গানের সুরেআগুন ছিলো কাব্যে,মরার চোখে আগুন ছিলোএ-কথা কে ভাববে?কুকুর-বেড়াল থাবা […]

তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা,তোমাকে পাওয়ার জন্যেআর কতবার ভাসতে হবে রক্তগঙ্গায় ?আর কতবার দেখতে হবে খাণ্ডবদাহন ? তুমি আসবে ব’লে,

আমি কিংবদন্তির কথা বলছিআমার পূর্বপুরুষের কথা বলছি।তাঁর করতলে পলিমাটির সৌরভ ছিলতাঁর পিঠে রক্তজবার মত ক্ষত ছিল। তিনি অতিক্রান্ত পাহাড়ের কথা

তোমাদের যা বলার ছিলবলছে কি তা বাংলাদেশ ?শেষ কথাটি সুখের ছিল ?ঘৃণার ছিল ?নাকি ক্রোধের,প্রতিশোধের,কোনটা ছিল ?নাকি কোনো সুখেরনাকি মনে

না,আমি আসিনিওল্ড টেস্টামেন্টের প্রাচীন পাতা ফুঁড়ে,দুর্বাশাও নই,তবু আজ এখানে দাঁড়িয়ে এই রক্ত গোধূলিতেঅভিশাপ দিচ্ছি।
আমাদের বুকের ভেতর যারা ভয়ানক কৃষ্ণপক্ষ দিয়েছিলো

ঈর্ষাতুর নই, তবু আমিতোমাদের আজ বড় ঈর্ষা করি। তোমরা সুন্দরজামা পরো, পার্কের বেঞ্চিতে বসে আলাপ জমাও,কখনো সেজন্যে নয়। ভালো খাও

তার চোখ বাঁধা হলো।বুটের প্রথম লাথি রক্তাক্ত করলো তার মুখ।থ্যাতলানো ঠোঁটজোড়া লালা রক্তে একাকার হলো,জিভ নাড়তেই দুটো ভাঙা দাঁত ঝ’রে

লক্ষ্মী বউটিকে আমি আজ আর কোথাও দেখি না,হাঁটি হাঁটি শিশুটিকে কোথাও দেখি না;কতগুলি রাজহাঁস দেখি,নরম শরীর ভরা রাজহাঁস দেখিকতগুলি মুখস্থ

আমি যখন মুক্তিযুদ্ধের কথা বলি তখন তেরোশত নদীগেয়ে ওঠে আমার সোনার বাংলা,সহস্র পাখির কণ্ঠে জয় বাংলা ধ্বনিত হতে থাকে;আমি যখন

আমি জন্মেছি বাংলায়, আমি বাংলায় কথা বলিআমি বাংলার আলপথ দিয়ে, হাজার বছর চলি।চলি পলিমাটি কোমলে আমার চলার চিহ্ন ফেলে।তেরশত নদী