জসীম উদ্দীন
আদমের কথা
হাওয়াকে অনেক বুঝিয়েছি।এ রকম ছোটাছুটি ভালো নয়, শান্ত হও, ধীরস্থির হও;খানিক বিশ্রাম নাও ঘাসের ওপর,ফড়িঙের সাথে গল্প করো। দিন নেই
আমার মন
ওকে নিয়ে আমি আর পারছি না— বেয়াড়া, নিলাজ,যখনতখন আমাকে অস্থির করে,উদ্বিগ্ন হয়ে তাকে খুঁজি। ঘুড়ির মেলায় কিংবা সাপের খেলায়, যখন
আমি একদিন নিখোঁজ হবো
আমি একদিন সন্ধ্যা হবঅন্ধকারে হারিয়ে ফেলে খুঁজবে যখনবটের ধারে ধানসিঁড়িদের কান্না হবো।মাঝির হঠাৎ অবাক ভুলে বৈঠা হারা নায়ের মতনআমিও অমন
সমর্পণ
আমায় দিও জল,জল ধরতে তোমার অমনশুভ্র করতল।আমায় দিও নদী,বেহিসেবী ভেসে যাওয়ারইচ্ছে নিরবধি।একটা আকাশ দিও,তার বিনিময় এই জনমেরহিসেব সকল নিও।নীল জোছনাও
বৃষ্টি এলেই
বৃষ্টি এলেই তোমার চুলে খানিক ভুলে গন্ধ নেব,তোমার ঠোঁটেই খুঁজব নেশা, নিকোটিনটা বন্ধ দেব।বেহিসেবি হাটবাজারে, ছেড়েই দেব দামাদামি,বৃষ্টি এলেই বদলে
এই যে তুমি খুন করছো মানুষ
এই যে তুমি খুন করছো মানুষ,এই যে তুমি রক্তে রাঙাও হাত,রক্ত কি আর ধর্মের রঙ জানে?ধর্ম জানে রক্তের কোনো জাত?এই
কাজল চোখের মেয়ে
শোনো, কাজল চোখের মেয়ে,আমার দিবস কাটে, বিবশ হয়ে,তোমার চোখে চেয়ে।দহনের দিনে কিছু মেঘ কিনে,যদি ভাসে মধ্য দুপুর,তবু মেয়ে জানে,তার চোখ
আমরা কেউ কেউ ডাস্টবিন
ডাস্টবিনেরা কষ্ট জমা করে রাখে,অদ্ভুত সব কষ্ট। উচ্ছিষ্টের কষ্ট, অবশিষ্টের কষ্টঅপেক্ষার কষ্ট, উপেক্ষার কষ্টরাতের কিংবা ক্ষুধার্তের কষ্ট।ডাস্টবিন দেখে ঝকঝকে ডাইনিঙরাসুগন্ধি
শুন্য
তোমার জন্য যতটা পথ হেঁটেছিততটা পথ হাঁটলেআমি পৌঁছে যেতে পারতাম জেরুজালেমআমার প্রিয়তম শহর।তোমার জন্য যতটা রাত কেঁদেছিততটা কান্নায় আমি ছুঁয়ে
মানুষ বড় অভিমানী
মানুষ বড় অভিমানী প্রাণীসে চায়,তার মন খারাপ হলেপ্রিয় মানুষটাকে না বললেওসে বুঝে ফেলুক।ফোন করে খানিক ম্লান গলায়‘হ্যালো’ বলতেই ওপারের মানুষটা
কতকাল ভালোবাসা হয় না নিজেকে
কতকাল ভালোবাসা হয় না নিজেকে।অথচ, যেই মানুষটা উধাও হলো একলা রেখে,তার জন্য বুকের ভেতর কান্না জমে,রাত্রি জানে ঘুম জমে না
যেতে চাইলে যেও
যেতে চাইলে যেওনিয়ম করে বুকের ব্যথার ওষধটুকু খেও।রোজ সকালে ঘুমটা ভেঙে একটুখানি হেঁটো,সুখের সকল গল্প এবার যত্ন করে এঁটো। যেতে