চৈত্রের এক মধ্যরাতে
বুকের কপাট খুলে দু’বাহু বাড়িয়ে
আমি অপেক্ষা করছিলাম
কোনো এক নারীর জন্যে…
কৃষিজমিতে দাঁড়িয়ে
যে রকম অপেক্ষা করে উন্মুখ কৃষক
ফসল-ফলানো বৃষ্টির জন্যে—
আমি অপেক্ষা করছিলাম
একজন নারীর জন্যে, সম্পূর্ণ রমণী—
যার স্পর্শে এই পাথর সোনা হয়ে উঠবে
ব্রোঞ্জ, তামা আর দস্তার সমারোহময় এই দেশে;
আমি অপেক্ষা করছিলাম
চৈত্রের নির্জন মধ্যরাতে
দু’হাত পাখির মতো মেলে ধরে
হৃদয়ে মধ্যযুগ-উৎসারিত সমস্ত আবেগ সঞ্চারিত করে
নিছক এক নারীর আকাঙ্ক্ষায়…
কী এক অচেনা আবেগের ভরে
আমি অপেক্ষা করছিলাম
মেঘহীন গুমোট গরমে
খরাপীড়িত বাংলায়
চৈত্রের কোনো এক মধ্যরাতে
দু’বাহু মেলে ধরে, বুকে টনটনে ব্যথা নিয়ে
এক পরিপূর্ণ নারীর জন্যে—
যে নারী আমার ছোট এক কামরার
গুহাতুল্য বায়ুচলাচলহীন ম্রিয়মাণ ঘরে
শতাব্দীর সুবাতাস বয়ে চলে আসবে অকাতরে;
তার গৃহপ্রবেশের সঙ্গে-সঙ্গে হঠাৎ আলোর
ঝলকানি লেগে ঝলমল করে উঠবে
ঘরময় সকল আসবাব, যার প্রতি পদপাতে
সুরভিত রক্তপদ্ম ফুটে উঠবে, আমার বিছানার
প্রান্তে বসার সঙ্গে-সঙ্গে তার নিতম্বের নিচে
একরাশ রজনীগন্ধা হেসে উঠবে—
দীর্ঘদিন অবহেলা ও অযত্নে পড়ে থাকা
আমার ক’টি তুচ্ছ কবিতার বই
সে স্পর্শ করামাত্র প্রতিটি পৃষ্ঠা থেকে
বসরাই গোলাপের গন্ধ বেরুতে থাকবে!
অবশেষে, এই চুম্বনরহিত ঠোঁটে
সে তার ঠোঁট মেলাতেই সৌগন্ধ্যমণ্ডিত
আমার ওষ্ঠ থেকে অবিরল ধারায়
নিঃসরিত হতে থাকবে গালিবের গজলের মতো
কালজয়ী অনিঃশেষ পঙ্ক্তিসমূহ…
আমরা কেউ কেউ ডাস্টবিন
ডাস্টবিনেরা কষ্ট জমা করে রাখে,অদ্ভুত সব কষ্ট। উচ্ছিষ্টের কষ্ট, অবশিষ্টের কষ্টঅপেক্ষার কষ্ট, উপেক্ষার কষ্টরাতের কিংবা ক্ষুধার্তের কষ্ট।ডাস্টবিন দেখে ঝকঝকে ডাইনিঙরাসুগন্ধি