মা-বাবাকে নিয়ে ছড়া/কবিতা
মা
যখন ডাকি শিউলি হয়েশরৎ তখন ভোরের হাওয়ায় বলে কান্না রাখিস না, মা তো ছিলই মা তো আছেই, সবখানেতেই মা যখন ডাকি মা সহস্র চোখ বিপন্ন
বাবা আর মা
বাবাও নাকি ছোট্ট ছিলেনমা ছিলেন একরত্তিঠাম্মি দিদু বলেন, এসবমিথ্যে নয় সত্যি।বাবা ছিলেন আমার সমানটুয়ার সমান মাবাবা চড়তেন কাঠের ঘোড়ায়মা দিতেন
চামেলী হাতে নিম্নমানের মানুষ
আসলে আমার বাবা ছিলেন নিম্নমানের মানুষনইলে সরকারী লোক, পুলিশ বিভাগে চাকরী কোরেওপুলিশী মেজাজ কেন ছিলনা ওনার বলুন চলায় ও বলায়?চেয়ার
মা
যেখানেতে দেখি যাহামা- এর মতন আহাএকটি কথায় এত সুধা মেশা নাই,মায়ের মতন এতআদর সোহাগ সে তোআর কোনখানে কেহ পাইবে ভাই!
কোথায় ছিলাম আমি
মা গো! আমায় বল্তে পারিস কোথায় ছিলাম আমি-কোন্ না-জানা দেশ থেকে তোর কোলে এলাম নামি?আমি যখন আসিনি, মা তুই কি
জন্মকথা
খোকা মাকে শুধায় ডেকে–“এলেম আমি কোথা থেকে,কোন্খানে তুই কুড়িয়ে পেলি আমারে।’মা শুনে কয় হেসে কেঁদেখোকারে তার বুক বেঁধে–“ইচ্ছা হয়ে ছিলি
পূজার সাজ
আশ্বিনের মাঝামাঝি উঠিল বাজনা বাজিপূজার সময় এল কাছে।মধু বিধু দুই ভাই ছুটাছুটি করে তাইআনন্দে দু-হাত তুলি নাচে।পিতা বসি ছিল দ্বারে
খেলা-ভোলা
তুই কি ভাবিস, দিনরাত্তির খেলতে আমার মন?কক্ষনো তা সত্যি না, মা, আমার কথা শোন্।সেদিন ভোরে দেখি উঠে বৃষ্টিবাদল গেছে ছুটে,রোদ
দুয়োরানী
ইচ্ছে করে মা, যদি তুইহতিস দুয়োরানী!ছেড়ে দিতে এমনি কি ভয়তোমার এ ঘরখানি।ঐখানে ঐ পুকুরপারেজিয়ল গাছের বেড়ার ধারেও যেন ঘোর বনের
পুতুল ভাঙা
সাত-আটটে সাতাশ’, আমি বলেছিলাম বলেগুরুমশায় আমার ‘পরে উঠল রাগে জ্বলে।মা গো, তুমি পাঁচ পয়সায় এবার রথের দিনেসেই যে রঙিন পুতুলখানি
সময়হারা
যত ঘণ্টা, যত মিনিট, সময় আছে যতশেষ যদি হয় চিরকালের মতো,তখন স্কুলে নেই বা গেলেম; কেউ যদি কয় মন্দ,আমি বলব,
রবিবার
সোম মঙ্গল বুধ এরা সবআসে তাড়াতাড়ি,এদের ঘরে আছে বুঝিমস্ত হাওয়াগাড়ি?রবিবার সে কেন, মা গো,এমন দেরি করে?ধীরে ধীরে পৌঁছয় সেসকল বারের