মাকে নিয়ে কবিতা
জন্মবৃত্তান্ত
মা-কে নিয়ে আমার খুব গর্ব ছিলআমার জন্মের সময় আমি তো জন্মাইনি –সুতরাং, জন্মদাত্রী ব’লে নয়। আসলেমা খুব গুছিয়ে বলতে পারতজন্মের
একটি সবুজ তারা
মা আছেন আকাশে নক্ষত্রের মেলায়কেউ জানে না, আমি জানি কোন তারাটিআমার মা,ঐ তারার আলোতে আমি পথ চলিঅন্ধকারে, ঝলমলে, দিনের ধন্দে
মা-র কাছে ফেরা
ওখানে ভীষণ খরায় ফসলের চরাচরে পাখা মেলে বোসেছে একবন্ধ্যার বাজপাখি, তার ঠোঁটের বিষ আমার রক্তের শহরে ঢুকেছেশত্রুসেনারা যেমন বিজয়গর্বে ঢোকে
তোমার মা
তাঁর ছায়া তাঁরই মতো থাকেউঠোন, বাগান, শান বাঁধানো ঘাটেসন্ধ্যা যখন নামেহাতের মুঠোয় কমলালেবু, কমলালেবুর ঘ্রাণেদীর্ঘ চুলে গন্ধ-বাতাস খেলেআমার তখন কী-ই
একটি গ্রাম্য দৃশ্য
মাটির দাওয়ায় খুদে মাস্টার ক্লাস সিক্সের গুটুলিহাতে বেত নেই, তর্জনি তোলা, নাকের ডগায় চশমাখেলনা চশমা, চশমা ছাড়া কি মাস্টার সাজা
আমার হারানো মাকে
পালকি, যাও, হারানো আমার মাকে খুঁজে নিয়ে এসো।অস্পৃশ্যের মত এক পীড়নের দিনে চাই রাজবধূরূপে মাকে পেতে।মাকে পেলে দুই গালে হাজার
জননী জন্মভূমি
আমি ভীষণ ভালোবাসতাম আমার মা-কে—কখনও মুখ ফুটে বলি নি।টিফিনের পয়সা বাঁচিয়েকখনও কখনও কিনে আনতাম কমলালেবু—শুয়ে শুয়ে মা-র চোখে জলে ভ’রে
দুঃখবতী মা
মা’র দুঃখগুলোর ওপর গোলাপ-জল ছিটিয়ে দেওয়ার ইচ্ছে ছিল,যেন দুঃখগুলো সুগন্ধ পেতে পেতে ঘুমিয়ে পড়ে কোথাওঘুমটি ঘরের বারান্দায়, কুয়োর পাড়ে কিম্বা
পল্লী জননী
রাত থম থম স্তব্ধ, ঘোর-ঘোর-আন্ধার,নিশ্বাস ফেলি, তাও শোনা যায়, নাই কোথা সাড়া কার।রুগ্ন ছেলের শিয়রে বিসয়া একেলা জাগিছে মাতা,করুণ চাহনি
কোথায় ছিলাম আমি
মা গো! আমায় বল্তে পারিস কোথায়ছিলাম আমি-কোন্ না-জানা দেশ থেকে তোরকোলে এলাম নামি?আমি যখন আসিনি, মা তুই কি আঁখিমেলেচাঁদকে বুঝি
কত ভালবাসি
জড়ায়ে মায়ের গলা শিশু কহে আসি,-“মা, তোমারে কত ভালোবাসি!”“কত ভালবাস ধন?” জননী শুধায়।“এ-ত।” বলি দুই হাত প্রসারি’ দেখায়।“তুমি মা আমারে
মাতৃভক্তি
বায়েজিদ বোস্তামী-শৈশব হতে জননীর সেবা করিতেন দিবাযামী।দুপুর রাত্রে জননী জাগিয়া ডাকিলেন,’বাছাধন,বড়ই পিয়াস পানি দাও’ বলি মুদিলেন দু’নয়ন।দেখিল বালক ঘরের কোণের