অন্নদাশঙ্কর রায়
পাঞ্জেরি
রাত পোহাবার কত দেরি পাঞ্জেরি?এখনো তোমার আসমান ভরা মেঘে?সেতারা, হেলাল এখনো ওঠেনি জেগে?তুমি মাস্তলে, আমি দাঁড় টানি ভুলে;অসীম কুয়াশা জাগে
কথা
তারপরও কথা থাকে;বৃষ্টি হয়ে গেলে পরভিজে ঠাণ্ডা বাতাসের মাটি-মাখা গন্ধের মতনআবছায়া মেঘ মেঘ কথা;কে জানে তা কথা কিংবাকেঁপে ওঠা রঙিন
ফ্যান
নগরের পথে পথে দেখেছ অদ্ভুত এক জীবঠিক মানুষের মতোকিংবা ঠিক নয়,যেন তার ব্যঙ্গ-চিত্র বিদ্রূপ-বিকৃত !তবু তারা নড়ে চড়ে কথা বলে,
পাখিদের মন
নির্জন প্রান্তরে ঘুরে হঠাত্ কখন,হয়তো পেতেও পারি পাখিদের মন।আর শুধু মাটি নয় শ্স্য নয়,নয় শুধু ভার,আর-এক বিদ্রোহী ধিক্কার–পৃথিবী-পরাস্ত-করা উজ্জল উত্
কাগজ বিক্রী
হাঁকে ফিরিওলা— কাগজ বিক্রী,পুরানো কাগজ চাই!ঘরের কোণেতে সঞ্চিত যততাড়াগুলি হাতড়াই |পুরানো কাগজ চাই |বহুদিন ধরে জঞ্জাল বাড়েসের দরে বেচি তাই
উত্তরাধিকার
আমাদের বাবারা ছিলেন সাহসী যোদ্ধাতরবারি আর তেজী ঘোড়ার পিঠে চড়েবন মাঠ গ্রামান্তর ঘুরে বেড়াতেনছিলেন ইস্পাতের মত দৃঢ়, ঝড়ের মত বাধাহীনমৃত্যু
আমাদের ভবিষ্যত
পিতার কাশির মত ক্রমেই চলেছে বেড়েআমাদের মিহি দুঃখগুলোঘরোয়া যান্ত্রিক সুরে আষাঢ়ের বৃষ্টি হয়েএসেছে নেমে ভাগ্যের মসৃণ চালে। উদ্ভিন্ন জীবন পেরিয়ে
পিতার ছায়া
বাবার হাতে বেশ জোর ছিলোদুপুরবেলা নদী থেকে গোসল করে এসেবারান্দায় কখনো ভাত খেতে বসে, তরকারীতেনুন কম হওয়া নিয়ে—আমাদের উদ্দেশ্যেযখন একটা
বাবা
বাবা বললেন,অন্ধকারে একটুখানি দাঁড়িয়ে থাক আমার জন্যমাটির তলার একটা সুড়ঙ্গে নেমে গেলেনখুব আস্তে আস্তেআকাশে প্রান্ত নির্ণয় ভুল করে ছুটে গেল
চিরদিন
আমি যেন বলি, আর তুমি যেন শোনোজনমে জনমে তার শেষ নেই কোনো।দিনের কাহিনী কত, রাত চন্দ্রাবলীমেঘ হয়, আলো হয়, কথা
যুগলসন্ধি
ছেলেটি খোঁড়েনি মাটিতে মধুর জল!মেয়েটি কখনো পরে নাই নাকছাবি।ছেলেটি তবুও গায় জীবনের গান,মেয়েটিকে দেখি একাকী আত্মহারা! ছেলেটির চোখে দুর্ভিক্ষের দাহ,মেয়েটির
তারপর
তারপর?তারপর শেষ হল চোদ্দ বছরের অজ্ঞাতবাস।সে আমাকে দেখে ডুকরে উঠল– তুমি এমন বিবর্ণ কেন?আমি তাকে দেখে চমকে উঠলাম– তুমি এমন