কামাল চৌধুরী
গাধার কান
একটা দড়ির দুদিক থেকে টানছে দুদল ছেলেতাই না দেখে বনের বানর লাফায় খেলা ফেলে।সকল বানর ফন্দি আঁটে জবর মজার খেলাএমন
পণ্ডশ্রম
এই নিয়েছে ঐ নিল যাঃ! কান নিয়েছে চিলে,চিলের পিছে মরছি ঘুরে আমরা সবাই মিলে।কানের খোঁজে ছুটছি মাঠে, কাটছি সাঁতারবিলে,আকাশ থেকে
বৃষ্টি
কেঁদেও পাবে না তাকে বর্ষার অজস্র জলধারে।ফাল্গুন বিকেলে বৃষ্টি নামে।শহরের পথে দ্রুত অন্ধকার।লুটোয় পাথরে জল, হাওয়া তমস্বিনী;আকাশে বিদ্যুৎজ্বলা বর্শা হানে
ইলশে গুঁড়ি
ইলশে গুঁড়ি ! ইলশে গুঁড়ি !ইলিশ মাছের ডিম ।ইলশে গুঁড়ি ! ইলশে গুঁড়ি!দিনের বেলায় হিম ।কেয়াফুলে ঘুণ লেগেছে,পড়তে পরাগ মিলিয়ে
অঘ্রাণ
আমি এই অঘ্রাণেরে ভালোবাসি- বিকেলের এই রঙ- রঙের শূন্যতারোদের নরম রোম- ঢালু মাঠ- বিবর্ণ বাদামি পাখি- হলুদ বিচালিপাতা কুড়াবার দিন
বাবা আর মা
বাবাও নাকি ছোট্ট ছিলেনমা ছিলেন একরত্তিঠাম্মি দিদু বলেন, এসবমিথ্যে নয় সত্যি।বাবা ছিলেন আমার সমানটুয়ার সমান মাবাবা চড়তেন কাঠের ঘোড়ায়মা দিতেন
কফিন কাহিনী
চারজন দেবদূত এসে ঘিরে আছে একটি কফিন একজন বললো দেখো ভিতরে রঙিন রক্তমাখা জামা ছিলো হয়ে গেছে ফুলচোখ দুটি মেঘে মেঘে ব্যথিত
বাঙালি, একটি ফিনিক্সপাখি
আমরা বাহান্নতে মরেছি দলে দলে, আমরা একাত্তরে মরেছি ঝাঁকে ঝাঁকে, আমরা পঁচাত্তরে মরেছি সপরিবারে। প্রতিটি মৃত্যুর পর আমরা আবার জেগে উঠেছি, যেভাবে জেগে
বিশিষ্ট দুই আবৃত্তি শিল্পীএকুশে পদকে ভূষিত
বাংলা ভাষার বিশিষ্ট দুই আবৃত্তি শিল্পী এবার একুশে পদকে ভূষিত হয়েছেন। তারা হলেন খান মো. মুস্তফা ওয়ালীদ (শিমুল মুস্তফা) ও
কোন এক মাকে
“কুমড়ো ফুলে ফুলেনুয়ে পড়েছে লতাটা,সজনে ডাঁটায়ভরে গেছে গাছটা,আর, আমি ডালের বড়িশুকিয়ে রেখেছি—খোকা তুই কবে আসবি!কবে ছুটি?” চিঠিটা তার পকেটে ছিল,
ফাগুন এলেই
ফাগুন এলেই একটি পাখি ডাকেথেকে থেকেই ডাকেতাকে তোমরা কোকিল বলবে? বলো।আমি যে তার নাম রেখেছি আশানাম দিয়েছি ভাষা,কতো নামেই ‘তাকে’
একুশের গান
ওরা আমার মুখের কথাকাইড়া নিতে চায় ।ওরা কথায় কথায় শিকল পরায়আমার হাতে-পায় ।। কইতো যাহা আমার দাদায়কইছে তাহা আমার বাবায়এখন,