খান মুহাম্মদ মইনুদ্দীন

পাঞ্জেরি 

রাত পোহাবার কত দেরি পাঞ্জেরি?এখনো তোমার আসমান ভরা মেঘে?সেতারা, হেলাল এখনো ওঠেনি জেগে?তুমি মাস্তলে, আমি দাঁড় টানি ভুলে;অসীম কুয়াশা জাগে

বাকি অংশ »

কথা

তারপরও কথা থাকে;বৃষ্টি হয়ে গেলে পরভিজে ঠাণ্ডা বাতাসের মাটি-মাখা গন্ধের মতনআবছায়া মেঘ মেঘ কথা;কে জানে তা কথা কিংবাকেঁপে ওঠা রঙিন

বাকি অংশ »

ফ্যান 

নগরের পথে পথে দেখেছ অদ্ভুত এক জীবঠিক মানুষের মতোকিংবা ঠিক নয়,যেন তার ব্যঙ্গ-চিত্র বিদ্রূপ-বিকৃত !তবু তারা নড়ে চড়ে কথা বলে,

বাকি অংশ »

পাখিদের মন 

নির্জন প্রান্তরে ঘুরে হঠাত্ কখন,হয়তো পেতেও পারি পাখিদের মন।আর শুধু মাটি নয় শ্স্য নয়,নয় শুধু ভার,আর-এক বিদ্রোহী ধিক্কার–পৃথিবী-পরাস্ত-করা উজ্জল উত্

বাকি অংশ »

কাগজ বিক্রী 

হাঁকে ফিরিওলা— কাগজ বিক্রী,পুরানো কাগজ চাই!ঘরের কোণেতে সঞ্চিত যততাড়াগুলি হাতড়াই |পুরানো কাগজ চাই |বহুদিন ধরে জঞ্জাল বাড়েসের দরে বেচি তাই

বাকি অংশ »

উত্তরাধিকার

আমাদের বাবারা ছিলেন সাহসী যোদ্ধাতরবারি আর তেজী ঘোড়ার পিঠে চড়েবন মাঠ গ্রামান্তর ঘুরে বেড়াতেনছিলেন ইস্পাতের মত দৃঢ়, ঝড়ের মত বাধাহীনমৃত্যু

বাকি অংশ »

আমাদের ভবিষ্যত

পিতার কাশির মত ক্রমেই চলেছে বেড়েআমাদের মিহি দুঃখগুলোঘরোয়া যান্ত্রিক সুরে আষাঢ়ের বৃষ্টি হয়েএসেছে নেমে ভাগ্যের মসৃণ চালে। উদ্ভিন্ন জীবন পেরিয়ে

বাকি অংশ »

পিতার ছায়া

বাবার হাতে বেশ জোর ছিলোদুপুরবেলা নদী থেকে গোসল করে এসেবারান্দায় কখনো ভাত খেতে বসে, তরকারীতেনুন কম হওয়া নিয়ে—আমাদের উদ্দেশ্যেযখন একটা

বাকি অংশ »

বাবা 

বাবা বললেন,অন্ধকারে একটুখানি দাঁড়িয়ে থাক আমার জন্যমাটির তলার একটা সুড়ঙ্গে নেমে গেলেনখুব আস্তে আস্তেআকাশে প্রান্ত নির্ণয় ভুল করে ছুটে গেল

বাকি অংশ »

চিরদিন

আমি যেন বলি, আর তুমি যেন শোনোজনমে জনমে তার শেষ নেই কোনো।দিনের কাহিনী কত, রাত চন্দ্রাবলীমেঘ হয়, আলো হয়, কথা

বাকি অংশ »

যুগলসন্ধি

ছেলেটি খোঁড়েনি মাটিতে মধুর জল!মেয়েটি কখনো পরে নাই নাকছাবি।ছেলেটি তবুও গায় জীবনের গান,মেয়েটিকে দেখি একাকী আত্মহারা! ছেলেটির চোখে দুর্ভিক্ষের দাহ,মেয়েটির

বাকি অংশ »

তারপর 

তারপর?তারপর শেষ হল চোদ্দ বছরের অজ্ঞাতবাস।সে আমাকে দেখে ডুকরে উঠল– তুমি এমন বিবর্ণ কেন?আমি তাকে দেখে চমকে উঠলাম– তুমি এমন

বাকি অংশ »
Scroll to Top