মহাদেব সাহা
আমার হারানো মাকে
পালকি, যাও, হারানো আমার মাকে খুঁজে নিয়ে এসো।অস্পৃশ্যের মত এক পীড়নের দিনে চাই রাজবধূরূপে মাকে পেতে।মাকে পেলে দুই গালে হাজার
অন্য মা
আমার মা না হয়ে তুমিআর কারো মা হলেভাবছ তোমায় চিনতেম না,যেতেম না ঐ কোলে?মজা আরো হত ভারি,দুই জায়গায় থাকত বাড়ি,আমি
লুকোচুরি
আমি যদি দুষ্টুমি ক’রেচাঁপার গাছে চাঁপা হয়ে ফুটি,ভোরের বেলা মা গো, ডালের ’পরেকচি পাতায় করি লুটোপুটি,তবে তুমি আমার কাছে হারো,তখন
মাতৃবৎসল
মেঘের মধ্যে মা গো, যারা থাকেতারা আমায় ডাকে, আমায় ডাকে।বলে, ‘আমরা কেবল করি খেলা,সকাল থেকে দুপুর সন্ধেবেলা।সোনার খেলা খেলি আমরা
জননী জন্মভূমি
আমি ভীষণ ভালোবাসতাম আমার মা-কে—কখনও মুখ ফুটে বলি নি।টিফিনের পয়সা বাঁচিয়েকখনও কখনও কিনে আনতাম কমলালেবু—শুয়ে শুয়ে মা-র চোখে জলে ভ’রে
দুঃখবতী মা
মা’র দুঃখগুলোর ওপর গোলাপ-জল ছিটিয়ে দেওয়ার ইচ্ছে ছিল,যেন দুঃখগুলো সুগন্ধ পেতে পেতে ঘুমিয়ে পড়ে কোথাওঘুমটি ঘরের বারান্দায়, কুয়োর পাড়ে কিম্বা
পল্লী জননী
রাত থম থম স্তব্ধ, ঘোর-ঘোর-আন্ধার,নিশ্বাস ফেলি, তাও শোনা যায়, নাই কোথা সাড়া কার।রুগ্ন ছেলের শিয়রে বিসয়া একেলা জাগিছে মাতা,করুণ চাহনি
কোথায় ছিলাম আমি
মা গো! আমায় বল্তে পারিস কোথায়ছিলাম আমি-কোন্ না-জানা দেশ থেকে তোরকোলে এলাম নামি?আমি যখন আসিনি, মা তুই কি আঁখিমেলেচাঁদকে বুঝি
কত ভালবাসি
জড়ায়ে মায়ের গলা শিশু কহে আসি,-“মা, তোমারে কত ভালোবাসি!”“কত ভালবাস ধন?” জননী শুধায়।“এ-ত।” বলি দুই হাত প্রসারি’ দেখায়।“তুমি মা আমারে
মাতৃভক্তি
বায়েজিদ বোস্তামী-শৈশব হতে জননীর সেবা করিতেন দিবাযামী।দুপুর রাত্রে জননী জাগিয়া ডাকিলেন,’বাছাধন,বড়ই পিয়াস পানি দাও’ বলি মুদিলেন দু’নয়ন।দেখিল বালক ঘরের কোণের
আমাদের মা
আমাদের মাকে আমরা বলতাম ‘তুমি’, বাবাকে ‘আপনি’ ।আমাদের মা গরিব প্রজার মত দাঁড়াতো বাবার সামনেকথা বলতে গিয়ে কখনোই কথা শেষ
কখনো আমার মাকে
কখনো আমার মাকে কোনো গান গাইতে শুনিনি।সেই কবে শিশু রাতে ঘুম পাড়ানিয়া গান গেয়েআমাকে কখনো ঘুম পাড়াতেন কি না আজ