সুফিয়া কামাল
একুশের কবিতা
আশ্চর্য এমন দিন। মৃত্যুতে করে না কেহ শোক,মৃত্যুরে করে না ভয়, শঙ্কাহীন, কিসের আলোকউদ্ভাসিত ক’রে তোলে ক্লান্ত দেহ, মুখ, পদক্ষেপসংকল্পের
জন্মেছি এই দেশে
অনেক কথার গুঞ্জন শুনিঅনেক গানের সুরসবচেয়ে ভাল লাগে যে আমার‘মাগো’ ডাক সুমধুর। আমার দেশের মাঠের মাটিতেকৃষাণ দুপুরবেলাক্লান্তি নাশিতে কন্ঠে যে
পল্লী স্মৃতি
বহুদিন পরে আজি মনে পড়েপল্লী ময়ের কোল,ঝাউশাখে সেথা বনলতা বাঁধিহরষে খেয়েছি দোলকুলের কাটার আঘাত লইয়াকাঁচা পাকা কুল খেয়ে,অমৃতের স্বাদ যেন
তোমার সে প্রেম
মৃত্তিকার ভন্ড ভরি উচ্ছুসিত তোমার সে প্রেমতারে আমি ভরিয়া নিলেমআমার নয়ন ভরে, আমার হৃদয় ভরেআর ভরে আমার দু’কর!কী দুঃসহ সে
শুধু খেলা নয়
খেলাঘরে শুধুই খেলাভেবো না তা কেউদেখবে এসো কত কাজ আরকত খুশীর ঢেউ। ভাই আসছে বোন আসছেআসছে নানা নানীসবাই হাসে সকল
ঈদ
আমার নিশীথের আধার সিন্ধু পাড়ি দিয়ে এক তরীফিরদৌস হতে সওগাত লয়ে গগন কিনার ভরিকত উতসুক মানব মনের শান্তি কামনা লয়ে,দ্বিতীয়ার
হে মহান নেতা
কায়েদে আজম! হে মহান নেতা সাড়া দাও,দাও সাড়া,তোমারে ভোলেনি, আজিও ডাকিছে বঞ্চিত সবহারাতোমারে হেরেনি, শুনেছিল শুধু তোমার কন্ঠবাণী;জেনেছিল তারা, তুলেছে
বাসন্তী
আমার এ বনের পথেকাননে ফুল ফোটাতেভুলে কেউ করত না গোকোনদিন আসা-যাওয়া।সেদিন ফাগুন-প্রাতেঅরুণের উদয়-সাথেসহসা দিল দেখাউদাসী দখিন হাওয়া।…বুকে মোর চরণ ফেলেবধুঁ
সাঁঝের মায়া
অনন্ত সূর্যাস্ত-অন্তে আজিকার সূর্যাস্তের কালেসুন্দর দক্ষিণ হস্তে পশ্চিমের দিকপ্রান্ত-ভালেদক্ষিণা দানিয়া গেল, বিচিত্র রঙের তুলি তার_বুঝি আজি দিনশেষে নিঃশেষে সে করিয়া
পথ নহে অন্তহীন
প্রসন্ন প্রভাতে আজি যাত্রা শুরু কর হে কাফেলা!সম্মুখে আলোকদীপ্ত বেলা।দূর পথ প্রসারিত, দিকে দিকে চঞ্চল জীবন।আঁধার নির্মোক হতে কর উন্মোচনগতিময়
কালের যাত্রার ধ্বনি
কাল কভু চুপ নাহি রয়,কথা কয়, সে যে কথা কয়।সে আবার জেগে ওঠে প্রত্যহের জীবন-স্পন্দনে;সে দুর্বার প্রাণবেগে বেঁচে ওঠে নিত্যের
মিটাতে জঠর ক্ষুধা
অন্তর তৃষা মিটাতে এনেছে মমতার মধু-সুধা?রিক্তের প্রাণ ভরিবে কি আজ পুণ্যের আশ্বাসে?অবহেলিতেরে ডেকে নেবে ঘরে, তাদের দীর্ঘশ্বাসে।ব্যথিত মনের সম বেদনায়