পল্লী জননী
রাত থম থম স্তব্ধ, ঘোর-ঘোর-আন্ধার,নিশ্বাস ফেলি, তাও শোনা যায়, নাই কোথা সাড়া কার।রুগ্ন ছেলের শিয়রে বিসয়া একেলা জাগিছে মাতা,করুণ চাহনি […]
রাত থম থম স্তব্ধ, ঘোর-ঘোর-আন্ধার,নিশ্বাস ফেলি, তাও শোনা যায়, নাই কোথা সাড়া কার।রুগ্ন ছেলের শিয়রে বিসয়া একেলা জাগিছে মাতা,করুণ চাহনি […]
মা গো! আমায় বল্তে পারিস কোথায়ছিলাম আমি-কোন্ না-জানা দেশ থেকে তোরকোলে এলাম নামি?আমি যখন আসিনি, মা তুই কি আঁখিমেলেচাঁদকে বুঝি
জড়ায়ে মায়ের গলা শিশু কহে আসি,-“মা, তোমারে কত ভালোবাসি!”“কত ভালবাস ধন?” জননী শুধায়।“এ-ত।” বলি দুই হাত প্রসারি’ দেখায়।“তুমি মা আমারে
বায়েজিদ বোস্তামী-শৈশব হতে জননীর সেবা করিতেন দিবাযামী।দুপুর রাত্রে জননী জাগিয়া ডাকিলেন,’বাছাধন,বড়ই পিয়াস পানি দাও’ বলি মুদিলেন দু’নয়ন।দেখিল বালক ঘরের কোণের
আমাদের মাকে আমরা বলতাম ‘তুমি’, বাবাকে ‘আপনি’ ।আমাদের মা গরিব প্রজার মত দাঁড়াতো বাবার সামনেকথা বলতে গিয়ে কখনোই কথা শেষ
কখনো আমার মাকে কোনো গান গাইতে শুনিনি।সেই কবে শিশু রাতে ঘুম পাড়ানিয়া গান গেয়েআমাকে কখনো ঘুম পাড়াতেন কি না আজ
মাকে আমার পড়ে না মনে।শুধু কখন খেলতে গিয়ে হঠাৎ অকারণেএকটা কি সুর গুনগুনিয়ে কানে আমার বাজে,মায়ের কথা মিলায় যেন আমার
সংসারে এসেও মা আমার সারাক্ষণছিলেন নিশ্চুপ বড়ো, বড়ো বেশি নেপথ্যচারিণী। যতদূরজানা আছে, টপ্পা কি খেয়াল তাঁকে করেনি দখলকোনোদিন। মাছ কোটা
জড়ায়ে মায়ের গলা শিশু কহে আসি,-‘মা, তোমারে কত ভালবাসি!’‘কত ভালবাস ধন?’ জননী সুধায়।‘এ-তো-‘ বলি দুই হাত প্রসারি দেখায়। ‘তুমি মা