অমিতাভ দাশগুপ্ত
মধ্যরাত ছুঁতে আর সাত মাইল
মধ্যরাত ছুঁতে আর সাত মাইল . . .দুই ঠোঁট ছিঁড়ে নাও,চোখের কোটর থেকে নীলপদ্ম তুলে নাও,নিষিদ্ধ দেরাজ থেকে তুলে নাও
একদিন হবে
আজ নয়।কালও নয়।একদিন হবে।সেদিন তুমি বা আমি কেউ থাকবনা।তবু হবে।সব রক্ত আর জল মিলে মিশে প্রণামের মতরক্তিম ভোরের দিকে যাবে।আজ
নারীমেধ
‘এক’ ‘মেয়েমানুষের মাংস এমনিতেই খেতে খুব স্বাদু,আর যদি দিশি মদে ভিজিয়ে ভিজিয়েহায় হায় ভাবাই যায় না…..তাছাড়া এখন খুব পড়েছে মরশুম,ছয়
বুকের বাংলা ভাষা
যত দূরেই যাচ্ছিতোদের পায়ের শব্দ পাচ্ছি।তোরা আমার সঙ্গ ছাড়িস না,আঁচল পেতে আছেন বসেঐ আমাদের মা,একজোটে ঐ দুঃখিনীটির ঘরের দাওয়ায় যাবো খুঁদকুড়ো
উনিশে মে আর একুশে ফেব্রুয়ারি
বুকের রক্ত মুখে তুলে যারা মরেওপারে ঢাকায় এপারের শিলচরেতারা ভালোবাসা-বাংলাভাষার জুড়ি—উনিশে মে আর একুশে ফেব্রুয়ারি। সিঁদুর কুড়িয়ে নেওয়া যায় এক
শুনুন কমরেডস
সব সময় বিপ্লবের কথা না ব’লেযদি মাঝে মাঝে প্রেমের কথা বলি—আমাকে ক্ষমা করবেন, কমরেডস।সব সময় ইস্তেহার না লিখেযদি মাঝে মাঝে
এসো স্পর্শ করো
এসো। ছোঁও।সম্পূর্ণ পাথর হয়ে গেছি কিনা, দ্যাখো।পাথরের বুক থেকে মাংস নাও,পাঁজরের রিডে রিডে চাপ দাও দশটি আঙুলে, আমাকে বাজাও তুমি বিঠোফেন-বালিকার হাত, বলো— আমি প্রত্ন
তোমার ক্ষমায় স্নাত
মেঘের খোঁপায় ফুটেছে আলোর ফুল,তোমাকে কি দেব অনন্য উপহার ?কোন ঘাটে পারহ’তে চেয়েছিলে খুঁজে অনুকুল হাওয়া,নাবিক বাছো নি, এ-নৌকো বেয়ে
আমার নাম ভারতবর্ষ
স্টেন গানের বুলেটে বুলেটেআমার ঝাঁঝরা বুকের উপরে ফুটে উঠেছে যে মানচিত্র—তার নাম ভারতবর্ষ। আমার প্রতিটি রক্তের ফোঁটা দিয়েচা-বাগিচায় কফি খেতে,কয়লা-খাদানে,
এই স্পার্টাকাস-রাত
আজ রাতে যখন চারপাশ সুনসান,মশারির অনের নিচু থেকে অম্লজান টানার শব্দ,গলি-উপগলি-কানাগলির শিরায়, টানেলে ঝুপঝাপ অন্ধকার,গাড়িবারান্দার নীচে ঘর-ছুট্ মানুষ আর আকাশেরঅশ্রুর লবণ মিলে-মিশে একাকার, শ্যামবাজারের পঞ্চমুখী
কাঠের চেয়ার
কাঠের চেয়ারে বসে থাকতে থাকতেমানুষও একদিন কাঠ হয়ে যায়।তার পায়ের আঙুলগুলোশিকড় হয়ে চাড়িয়ে যায় মেঝের ভেতর।তার কোমর থেকেসোঁদরি, গরান, গঁদের
আমার নীরবতা আমার ভাষা
আমার হাতে কোনও শাবল ছিল না,বাটালিও নয়,তবু, এতদিন তিলে তিলে গড়ে তোলা দুর্গএক দুপুরের বৃষ্টিতে কীভাবে ধুয়ে গেল!আরওই বিশাল পাথুরে